টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের কথিত দুই সোর্সের দ্বন্দ্বের কারণে বলি হলো সোহেল নামের এক কিশোর। পূর্ব শত্রুতা মেঠাতে সোহেলকে তিন দিন আগে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বিজিবি পরিচয়দানকারী কিছু লোক। তিনদিন পর ১৮০০ ইয়াবাসহ তাকে আটক দেখানো হয়। সোহেল টেকনাফ উত্তর জালিয়াপাড়ার ফরিদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিজিবির হাবিলদার মো. আশরাফুল আলম বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা (জিআর-৭৭১/১৮) দায়ের করেন। নিজ বাড়ীর বদলে তার ঠিকানা এখন শ্রীঘর।
স্থানীয়রা জানায়, ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৮ টার দিকে হবু শ্বশুর মোস্তাক আহমদ মসুর বাড়ি থেকে সোহেলকে বিজিবি পরিচয়ধারী কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী রমিজা আক্তার ও ফৌজিয়া আক্তার নামে দুই নারীও জানান একই কথা।
সোহেলের স্বজনেরা জানিয়েছে, বিজিবির কথিত সোর্স হাসান আলী (সম্প্রতি ক্রস ফায়ারে নিহত) ও পুলিশের কথিত সোর্স মোস্তাক আহমদ মসুর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের কারণে সোহেলকে ফাসানো হয়। সোহেলের হবু শ্বশুর মোস্তাক আহমদ মসুর হত্যাচেষ্টা মামলার (নং-জিআর ৭৩৯/১৭) আসামী মোহাম্মদ হোসেন ও মোহাম্মদ আযাদ ঘটনার মূল নায়ক। তারাই প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিরপরাধ একজন ছেলেকে ফাসিয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান সোহেলের পিতা।
মামলার এজাহারে সোহেলকে জালিয়াপাড়া উত্তরপাড়াস্থ নিজ বাড়ী থেকে ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬.৪০টায় ১৮০০ ইয়াবাসহ আটক দেখানো হয়। অথচ স্বজনদের দাবী, ৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৮টায় তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। শত্রুতাবশতঃ তাকে ফাসানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ক্রস ফায়ারে নিহত হাসান আলী বিজিবির সোর্স পরিচয়ে অনেক অপকর্ম করেছে। তার হাতে অসংখ্য মানুষ মিথ্যা মামলার শিকার। ঘরছাড়া, স্বজনহারা হয়েছে এমন অনেক মানুষও রয়েছে। তার মৃত্যুর পরও অনুসারীরা সেই অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। তাদের চক্রের শিকার সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেছে স্বজনেরা।