|| মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী ||

বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে দেড়’শ আসনে ১৫০ জনের একক প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করেছে। পাঁচ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় দেড়শ’ জনের চুড়ান্ত এই প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত চুড়ান্ত তালিকায় কক্সবাজার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে এডভোকেট হাসিনা আহমেদ (আসন-১), লুৎফুর রহমান কাজল (আসন-৩) ও শাহজাহান চৌধুরী (কক্সবাজার-৪) এর নাম থাকলেও কক্সবাজার-২ আসনে কোন প্রার্থীর নাম নেই। ঘোষিত কক্সবাজারের তিনজন চুড়ান্ত প্রার্থীকে ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে ফোনে ও মেইলে চুড়ান্ত প্রার্থীতার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। ২৩ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমঝোতা করে আগামী আট ডিসেম্বর রাত্রে অবশিষ্ট দেড়শ’টি আসনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করা হবে বলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে।

এদিকে, ঘোষিত চুড়ান্ত দেড়শ’ জন একক প্রার্থীর মধ্যে কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপি’র কোন প্রার্থীর নাম নাথাকায় এ আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী এ.এইচ.এম. হামিদুর রহমান আযাদের প্রার্থীতা চুড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এই প্রতিবেদকে মুঠোফোনে বলেন-এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করবেন। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে ইতিমধ্যে তাঁর কথা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে আইনী জটিলতা বা অন্য কোনকারণে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে নাপারলে এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ অন্য কোন প্রতীকে নির্বাচন নাকরে, প্রয়োজনে নির্বাচন থেকে তিনি সরে যাবেন বলে মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান জানান।

অন্যদিকে, একই আসনে বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ বলেছেন-তিনিই কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের চুড়ান্ত একক প্রার্থী। ঘোষনা দেয়াটা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন-আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আর কোন সুযোগ নেই। এ প্রসঙ্গে আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ইমাম হোসেনের জানান, নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। তাই জামায়াতের প্রার্থী, বর্তমানে কারাবন্দী এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ যদি স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন নাকরেন, তাহলে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি’র প্রার্থী আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদই কক্সবাজার-২ আসনে নির্বাচনে অবতীর্ণ হবেন। এডভোকেট ইমাম হোসেনের মতে- কুতুবদিয়া উপজেলার ভোটার সংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুন বেশী ভোটার হচ্ছে মহেশখালী উপজেলায়। এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ মূলতঃ কুতুবদিয়ার বাসিন্দা হওয়ায় কারাগারে থেকে তাঁর পক্ষে স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা খুব কঠিন হবে। তাই সবকিছু বিবেচনায় আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদই বিএনপি’র একক প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কক্সবাজার- ২ আসনে শেষপর্যন্ত নির্বাচনী লড়াই করবেন। এডভোকেট ইমাম হোসেনের এ আশা সত্যি সত্যি পূরণ হচ্ছে কিনা-তা জানার জন্য আমাদের আগামী নয় ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কক্সবাজার-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা মোট ২৯৬০৮১জন। তারমধ্যে মহেশখালী উপজেলায় ২১১৬১৬ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ৮৪৪৬৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা মোট-১০৫ টি।

(লেখক: এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ঢাকা।)