নিজস্ব প্রতিনিধি,সিবিএন:

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জামসহ সাকিবুল হাসান(২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-৭। সে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ আবুল কাশেমের ছেলে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার সময় তাকে আটক করেছে বলে লোহাগাড়া থানা সুত্রে প্রকাশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ উপজেলার আমিরাবাদ বটতলি মোটর স্টেশনের ষ্টার সুপার মার্কেটের ৫ম তলার একটি রুমের ভিতর সাকিবকে ভিওআইপি’র সারঞ্জমসহ আটক করে র‌্যাব। এ অভিযানে নেতৃত্বদেন বিআরটিএ ঢাকা এর সহকারী পরিচালক তৌফিকুল আলমসহ র‌্যাব-৭ এর একটি টিম। এ ঘটনায় এলঅকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে ৫ ডিসেম্বর লোহাগাড়া থানায় ২ জনকে আসামী করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন আইন ২০০১(সংশোধন ২০১০) এর ৩৫(২)৫৫(৭)/৭৪ ধারায় একটি মামলা দায়েরন করেন। অপর আসামী উপজেলা বড়হাতিয়া এলাকার আব্দুল হকের পুত্র রেজাউল করিম পালাতক রয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সাকিব ও তার পার্টনার রেজাউল লোহাগাড়ায় বসে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে পিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ভাড়া বাসা থেকে ৩২ পোর্টেও সীম বক্স ১টি, যাতে ৩১টি এন্টিনা, ১৬ পোর্টএর সীম বক্স ১টি, রাওটার ১টি, টেলিটকের সীম ১৫০টি, এয়ারটেলের সীম ৮০টি ও জিএসএম এন্টিনা ৬টি সারঞ্জমসহ সাকিবকে আটক করে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসায়ী রেজাউল করিম পালিয়ে যায়।

সিপিসি-৩, র‌্যাব-৭ এর ডিএডি/৮৪৬৭ মো: আবুল কাশেম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ভাবে ভিওআইপি ব্যবসাযী সাকিবকে সারঞ্জমসহ আটক করা হয়। আটকের পর তাকে লোহাগাড়া থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে ২ জনকে আসামী করে মামলা করে সাকিবকে হস্থান্তর করা হয়।

লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলা তদন্তকারী কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, র‌্যাব-৭ লোহাগাড়া থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসায়ী আটক সাকিবকে থানায় হস্থান্তর করে। বুধবার সকালে আটক সাকিবকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্যাপশন: লোহাগাড়ায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী র‌্যাবের হাতে আটক সাকিব।