শাহেদ মিজান, সিবিএন:
র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুখ্যাত জলদস্যু তারেক (৩০) নিহত হয়েছে। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে পেকুয়ার মগনামায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় একটি টি বিদেশি পিস্তল ও দুটি ওয়ান শুটারগান, ২৩ রাউন্ড গুলি এবং চার রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তারেক কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরংয়ের আবদুস শুক্কুরের পুত্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু দিদারের নেতৃত্বাধীন দিদার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, সম্প্রতি জলদস্যুরা সাগর থেকে কয়েকটি মাছধরার বোট অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ দাবি করে মালিকদের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল তারা। মুক্তিপণ আদায় করতে তারেকসহ একদল জলদস্যু পেকুয়ার মগনামায় আসে। খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টহল দল সেখানে অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা র‌্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে এক জলদস্যুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জলদস্যু তারেক দীর্ঘদিন ধরে সাগরের বোট ডাকাতির সাথে জড়িত ছিলো। সম্প্রতি র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু দিদার নেতৃত্বাধীন দিদারের দিদার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলো। দিদার মারা যাওয়ার পর তারেকই দিদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করতো। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় দস্যুতা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে চারটি মামলা রয়েছে বলে জানান মেজর মেহেদী হাসান। নিহত জলদস্যু তারেকের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।