মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী:

প্রায় এযুগ ধরে সাপে নেওলে সম্পর্ক। ভাল হোক, মন্দ হোক – একজনের কথা আরেকজন শুনতেই পারেননা। এভাবে চলছে ২০০৭ সাল থেকে। কক্সবাজার-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলীকে মনোনয়ন বন্ঞ্চিত করে আবদুর রহমান বদি নবম জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ছিনিয়ে আনার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে এই বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। দিন দিন এই বৈরীতা ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।

চলতি বছরের গত চার অক্টোবর সরকারের একদশকের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরতে অনুষ্ঠিত টেকনাফের উন্নয়ন মেলায় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বিগত একদশকে উখিয়া-টেকনাফে কোন উন্নয়ন হয়নি, শুধু লুটপাট হয়েছে বলে প্রকাশ্যে বক্তৃতা করে খোদ সরকারকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেন। আওয়ামীলীগ দলীয় সেই সাবেক এমপি ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী’র টেকনাফের হ্নীলা বাসভবনে ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সবাই একত্রে মধ্যাহ্নভোজ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী রাজনীতির স্বঘোষিত ‘বৈদ্য’ আবদুর রহমান বদি এমপি।

মধ্যাহ্নভোজে সাবেক ও বর্তমান এমপি ছাড়াও আরো ছিলেন-একই আসনে বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও আবদুর রহমান বদি’র স্ত্রী শাহিন আক্তার, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী’র স্ত্রী পুত্র সহ দু’পরিবারের আরো ক’জন সদস্য। সেখানে সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী চলমান সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শাহিন আক্তারের পক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে আবদুর রহমান বদি এমপিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মর্মে আওয়ামীলীগের স্থানীয় একজন নেতা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও আবদুর রহমান বদি’র মধ্যকার দা-কুমড়া সম্পর্ক জোড়া দিতে কারিগরের ভূমিকা পালন করছেন-টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী’র বেয়াই জাফর আলম বলে শোনা গেছে। তবে এ ব্যাপারে রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দলের সংকট ও প্রয়োজনে একই আদর্শের অনুসারীরা কখনো অভিমান করে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারেনা, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও আবদুর রহমান বদি’র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে-একেই বলে ‘আদর্শিক রাজনৈতিক’।