মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনের আটটি উপজেলায় নির্বাচনী বিচারিক কার্যক্রম চালানোর জন্য ৮ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নিয়োগকৃত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনের চকরিয়া উপজেলায় চকরিয়া উপজেলা চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব, পেকুয়া উপজেলায় খাগড়াছড়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান।

কক্সবাজার-২ আসনের কুতুবদিয়া উপজেলায় কুতুবদিয়া উপজেলা চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল হক, মহেশখালী উপজেলায় মহেশখালী উপজেলা চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুশান্ত প্রসাদ চাকমা।

কক্সবাজার-৩ আসনের কক্সবাজার সদর উপজেলায় কক্সবাজার সিজেএম আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম জেরিন সুলতানা, রামু উপজেলায় একই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন।

কক্সবাজার-৪ আসনের উখিয়া উপজেলায় কক্সবাজার সিজেএম কোর্টের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং হেলাল উদ্দিন ও টেকনাফ উপজেলায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব (আইন) মোঃ শরীফ হোসেন হায়দার গত ২৮ নভেম্বর ৯২ নং স্মারক মূলে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজারের চারটি আসনের জন্য ৮ জন উল্লেখিত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহ মোট ৬৪০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮৯ (এ)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন এই নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণকে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগন ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত টানা চারদিন যেকোন নির্বাচনী অভিযোগ আমলে নেয়া, সংক্ষিপ্ত বিচার ও প্রতিবেদন তৈরী ও তৈরীকৃত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে দাখিল সহ নির্বাচনী বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগন বর্তমান স্ব স্ব কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে যথাসময়ে নির্বচনী দায়িত্বে যোগ দেয়ার জন্য প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ নির্বাচনী দায়িত্বপালনের সময় একজন বেন্ঞ্চ সহকারী, একজন অফিস সহকারী অথবা একজন ষ্টোনোগ্রাফার সাথে রাখতে রাখবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।