ডেস্ক নিউজ:

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, এ দেশের রাজারা চায় না, প্রজারা রাজা হোক। এদেশের এমপি-মিনিস্টার চায় না আমরা পাবলিক এমপি মিনিস্টার হই। এরা অলটাইম চায়, এদের বউ, এদের ছেলে-মেয়ে এমপি হোক। এরা আমাকে এমপি হতে দেবে না। এ জন্য ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর সোমবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় তাকে দেখতে ভিড় লেগে যায়। উপস্থিত সবাই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে শুরু করেন। নির্বাচন কমিশনের অনেক কর্মকর্তাও ওপর থেকে নিচে নেমে আসেন। সিসি ক্যামেরায় নিচে এত ভিড় দেখে সংসদের কর্মকর্তারা খোঁজ নেন কেন এতো ভিড়?

প্রার্থী হওয়ার লড়াই চালিয়ে যাবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জিরো থেকে হিরো, জিরো থেকে এতদূর এসেছি। আমি অবশ্যই লড়াই চালিয়ে যাব। শেষ পর্যন্ত আমি বীরের মতো লড়াই করে যাব। পাই আর না পাই, কারও কাছে মাথা নত করব না।

তিনি বলেন, আমার মনোনয়নপত্রে কোনো ভুল ছিল না। রিটার্নিং অফিসার বলেছেন ভোটারদের শতকরা ১ ভাগ ভোটারের দেয়া তথ্যতে ভুল আছে। তারা র‌্যানডমের ভিত্তিতে দশ জনকে বেছে নিয়েছিল। তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা নাকি সাতজন রিয়েল পেয়েছে। তিনজন রিয়েল পায়নি। রাতের বেলায় যখন আমাকে কাগজ দেয় তাতে রিটার্নিং অফিসার লিখেছে ১০ ভোটারের দেয়া তথ্য সবই ভুল।

তার মনোনয়নপত্র ষড়যন্ত্র করে বাতিল করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, অবশ্যই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন, তারা সবাই একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করে আমার প্রার্থিতা বাতিল করেছে। ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেন- হিরো আলম, হিরো আলম বলে একটা আওয়াজ ওঠে গেছে। এই আওয়াজ ওঠার কারণে সব প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।

তিনি বলেন, সেখানে আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও তাদেরটা বাতিল হয়নি। আবার যারা রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছিল তাদের কারও প্রার্থী হলে তারা হৈ চৈ করল, গণ্ডগোল করার চেষ্টা করল- তখন তাদের প্রার্থিতা ঠিক হয়ে গেল। এতে আমি বুঝব আমার ক্ষমতার জোর নাই, টাকার জোর নাই। অনেক লোক নিয়ে আমি ক্ষমতা দেখাতে পারলাম না তাই আমারটা বৈধ করল না।

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র যে হয়েছে তার প্রমাণ একবার বলল সাতটা ভুয়া, পরে কাগজে দিল পাঁচটা ভুয়া। এতে প্রমাণ হয় অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ মার্কার মনোনয়ন না পেয়ে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া হিরো আলম।