প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪৩৪ তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় বক্তাগণ বলেছেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ শুধু পুঁথি সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি। অনেক পুঁথির লেখা ছিল অস্পষ্ট, অগোছালো। সেগুলোর পাঠোদ্ধার, অর্থ নির্ণয়, টীকা লিখন এবং সম্পাদনার মাধ্যমে পাঠোপযোগী করে সংগ্রহকে পূর্ণতা দেন তিনি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রায় আড়াই হাজার পুঁথি সংগ্রহ করেন যা আর কারো একক বা দলগত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়নি। প্রায় দেড়শ প্রাচীন ও বিস্মৃত কবিকে তিনি সুধী সমাজে পরিচিত করার মাধ্যমে বাংলার সাহিত্যের ভা-ারকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেন। এসব পুঁথি সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যকে হৃদ্ধ করেছেন।

বক্তাগণ বলেন, পল্লীর মানুষ ও তার সাহিত্য-সংস্কৃতিকে অমরত্ব দান করতে হলে তাদের ভালবাসতে হয়, নিজের মধ্যে থাকতে হয় স্বাজাত্যবোধ। সর্বোপরি সব কাজেই নিজেকে শ্রেণীনির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে চলার মানসিকতা থাকতে হয়। মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তেমনই একজন কীর্তিমান সর্বজন শ্রদ্ধেয় প-িত মানুষ।

একাডেমীর ৪৩৪ তম পাক্ষিক সাহিত্য সভা অদ্য ৩০ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার বিকাল ৪ টায় কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর এন্ডারসন রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম।

বক্তাগণ বলেন, শিক্ষকতা করতে গিয়ে মানসচক্ষু প্রসারিত করে তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাঙালি মুসলমানদের স্বকীয়তা ও স্বজাত্যবোধের অভাব উপলব্ধি করেন। এই অভাববোধই তাঁকে সাহিত্য সাধনায় উদ্বুদ্ধ করে। পুঁথিসাহিত্যকে আপন সন্তানের মতো ভালবাসতেন তিনি। চাকরি জীবনে খাটুনির পর তিনি পুঁথি সংগ্রহ ও সাহিত্য সাধনায় জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন।

বক্তাগণ বলেন, মুসলমানদের বাঙালিত্ববোধ জেগে ওঠার পেছনে তাঁর রচিত ও প্রকাশিত প্রবন্ধের প্রভাব অপরিসীম। তাঁর কাজ ও গুণের খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং দূর-দূরান্তের সাহিত্য সভা-মজলিসে তাঁর ডাক পড়তে থাকে। উল্লেখ করা দরকার, আবদুল করিমের পুঁথি সংগ্রহের আগ্রহ এবং শুরু উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে। সে সময় থেকে তিনি বিভিন্ন পত্রিকার গ্রাহক হয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে একাডেমীর সহকারী সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার জহির ইসলাম সাহিত্যবিশারদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন। পরে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন একাডেমীর স্থানীয় পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সুলতান আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, নির্বাহী সদস্য নুরুল আলম হেলালী, অফিস সম্পাদক আজাদ মনসুর।

পরে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, সুলতান আহমেদ, নূরুল আলম হেলালী, মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, জহির ইসলাম, আজাদ মনসুর ও তৌহিদা আজিম।

বিজয় দিবস-২০১৮ পালন

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ মহান বিজয় দিবস পালন করা হবে। এউপলক্ষে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে। একাডেমীর এন্ডারসন রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে উক্ত দিবস বিকাল ৪টায় আলোচনা সভায় ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে একাডেমীর সংশ্লিষ্ট সকলসহ জেলার কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদিদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল আহবান জানিয়েছেন।

বার্তা প্রেরক