নিউজ ডেস্ক:
আজ ৩০ নভেম্বর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রথম নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। অনেকটা নিভৃতেই কেটে গেল তাকে ছাড়া একটি বছর। ২০১৭ সালের এই দিনে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মরহুম আনিসুল হক ছিলেন একাধারে ব্যবসায়ী, সংগঠক ও সেলিব্রিটি। হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর রাজধানীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার মাত্র দুই বছর পরেই মারা যান তিনি।

মৃত্যুর আগে যেটুকু সময় হাতে পেয়েছিলেন তারই মধ্যে বহু উন্নয়ন কাজ শুরু করেছিলেন, উচ্ছেদ করেছিলেন রাস্তা, ফুটপাথ, পার্কসহ বিভিন্ন অবৈধ দখল। তার দৃঢ় পদক্ষেপেই রাজধানী থেকে অপসারিত হয়েছিল অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যনার-ফেস্টুন। রাজধানীকে ঘিরে নানা স্বপ্ন ছিল তার। শুরুও করেছিলেন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন, তবে অকাল মৃত্যুর কারণে শেষ করে যেতে পারেননি।

এদিকে প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আনিসুল হকের পরিবারের পক্ষ থেকে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া এবং খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে বিশেষ দোয়া।

প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডন যান মেয়র আনিসুল হক। সেখানে তিনি সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহ) আক্রান্ত হলে ১৩ আগস্ট স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ নভেম্বর লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মেয়র আনিসুল হক ১৯৫২ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮০ দশকে টেলিভিশনের উপস্থাপক হিসেবেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।