বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের কাছে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরআগে শহরের শহীদ সরণীস্থ হোটেল নিরিবিলি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে রামু-সদরের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও ঐক্যজোটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং ধানের শীষ ও কাজলের পক্ষে ভোট চেয়ে শ্লোগান দেন। সমাবেশে বিএনপি প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হন।
মনোনয়নপত্র জমাদানপূর্ব ‘দোয়া মাহফিলে’ বিএনপির সাংসদ প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। এখনও শতাধিক নেতা কারাগারে রয়েছে। নেতাকর্মীরা হুমকী-ধমকির শিকার হচ্ছে।’
তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘গ্রেফতার করতে হলে আমাকে করুন। নেতাকর্মীদের হয়রানি করবেন না।’ পুলিশ কোন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করলে জেলা সদরসহ পুরো নির্বাচনী এলাকা অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘কোন ব্যাংক ডাকাত-লুটেরাকে জনগণ ভোট দেবে না। তাই তারা কেন্দ্র দখল করে আগের মতোই ভোট নিতে চায়। কিন্তু জনগণ এবার তাদের দুরভিসন্ধি কখনও সফল হতে দেবে না। ভোট কারচুপির চেষ্টা করলে তিনি হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়বেন।’
লুৎফুর রহমান কাজল তার পক্ষে আশি ভাগ মানুষের সমর্থন আছে দাবি করে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা জনগণের ভোটাধিকার বা নাগরিক অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। কাউকে জোর করে বিজয়ী করতে গিয়ে আর দেশের বারটা বাজাতে যাবেন না। ’
২৩ দলীয় জোটের জেলার অন্যতম শীর্ষ নেতা ও ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা ছালামতউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা ইসলামী ঐক্যজোট ও হেফাজতের সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসিন হাবিব, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম মমতাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আকতারুল আলম চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অলিউল্লাহ, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সদর বিএনপি সভাপতি আবদুল মাবুদ, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, রামু বিএনপি সভাপতি সাইফুল আলম, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, সদর উপজেলা জামায়াতের সভাপতি খোরশেদ আনসারী, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল ফারুক, রামু উপজেলা জামায়াতের সহ সেক্রেটারি আবু নঈম হারুণ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসান প্রমূখ।
এসময় জেলা এলডিপি গোলাম কিবরিয়া, কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ ইসমাইল ফারুক,
জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট শাহাব উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ আলম, এডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, এডভোকেট ইউনুস, গোলাম মওলা চৌধুরী, মুজিবুল হক মিয়াজী, শওকত আলম শওকত, মনজুর আলম, মেরাজ আহমেদ চৌধুরী মাহিন, আবদুল করিম চেয়ারম্যান, শফিকুর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুর রহিম চেয়ারম্যান, জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জল, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিব উল্লাহ হাবিব, কাউছার আলম, জেলা মহিলাদলের সভাপতি পৌর মহিলা কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার বকুল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিনক সম্পাদক আমির আলী, যুগ্ম-সম্পাদক সানা উল্লাহ আবু, সাবেক ছাত্রদল নেতা রাশেদ আবেদীন সবুজ, রাশেদুল হক রাসেল, সরওয়ার রোমন, মনির উদ্দিন, শাহীনুল ইসলাম শাহীন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিমসহ বিএনপি ও জোটের শরীক দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু চেয়ারম্যানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোক্তার আহমদ।