ডেস্ক নিউজ:
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে দুইটি আসন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে ৪৮টি আসন ছাড় পাওয়ার আশ্বাসেও মহাজোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি মানতে চাচ্ছে না হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই সূত্রে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মুন্সিগঞ্জ-১ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসন দেয়া হচ্ছে যুক্তফ্রন্টকে। জাতীয় পার্টি ৭০টি আসন দাবি করলেও প্রথমে তাদেরকে ৩৫টি আসনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। দফায় দফায় আলোচনা করে সর্বশেষ ৪৮টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও নিজেদের দাবি থেকে সরে এসে ৫০টি চাইছে দলটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, আমরা ৪৮টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে চেয়েছি। তারা এখনো ৫০টি আসনের দাবি থেকে সরে আসেনি। আরও আলোচনা হবে।

এদিকে ২০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা বলা হলেও মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ঠিক কতজনকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) তিনটি, বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিয়া) দুইটি, ওয়ার্কার্স পার্টি পাঁচটি, জেপি (মঞ্জু) একটি এবং তরিকত ফেডারেশন দুইটি আসন পেয়েছে। চট্টগ্রাম-২ আসনে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আনোয়ার খান চিঠি গ্রহণ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আমরা দুইটি আসনে মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। ১৪ দলের শরিকদের সকলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা সেইভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনে বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া চিঠি গ্রহণ করেছেন। যদিও ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তি। চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদল।

এ প্রসঙ্গে শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, নড়াইল-১ ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। আর একটি আসনে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবো।

নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি কবিরুল হক মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন, তাহলে আগামী নির্বাচনে কে থাকছেন- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোট থেকে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবো। উনি প্রত্যাহার করবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু জোটের নয়, ঘোষিত প্রার্থী তালিকায়ও বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। আগে চিঠি দেয়া ও একই আসনে একাধিক প্রার্থীকে দেয়ার চিঠির বিষয়ে আগামী ২ তারিখের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানা গেছে।

সংসদীয় বোর্ডের সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, কিছু আসনে আমাদের প্রার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সে ভিত্তিতে একাধিক ব্যক্তিকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এগুলো আলোচনাধীন রয়েছে। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত হয়ে যাবে।