এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসন থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে ২৭ নভেম্বর বিকাল পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাতজন প্রার্থী। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পাটি ও জাতীয়বাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএ) একজন এবং স্বতন্ত্র দুইজন সম্ভাব্য প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি’র অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমেদ মঙ্গলবার বিকাল আড়াইটার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ বুধবার প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহরে পর জমা দেয়া বিএনপি’র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ ছাড়াও এ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আওয়ামীলীগের (মহাজোট) প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম, বর্তমান এমপি ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির (এরশাদ) সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি হাজী আবু মো.বশিরুল আলম এবং জাতীয়বাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএ) থেকে ফয়সাল চৌধুরী। এছাড়া ফরম সংগ্রহ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তানিয়া আফরিন ও চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ বদিউল আলম।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলেন, আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪দলীয় জোটভুক্ত জাফর আলম ও বশিরুল আলম, মহাজোট হলে জাপার মো.ইলিয়াছও একিভুত হলে কেন্দ্র নির্দেশিত একক প্রার্থী হিসেবে যেকোন একজন নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।

তবে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল এবং পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম অভিন্ন বক্তব্যে বলেন, আসছে সংসদ নির্বাচনে জোট হোক বা মহাজোট হোক চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমই একক প্রার্থী হবেন এটি নিশ্চিত।

সুত্র জানায়, সোমবার জাতীয় পাটির পক্ষ থেকে দুইশ জনকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দিলেও মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় পাঠানো ৪৭ জনের প্রার্থী তালিকায় কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলুর নাম রয়েছে। ফলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে বদ্ধমুল ধারনা জন্মেছে চকরিয়া-পেকুয়াসহ জেলার তিনটি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীই মহাজোটের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসিনা আহমদ একই আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সদ্য সাবেক চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, বর্তমানে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামীলীগের শক্ত অবস্থান তৈরী হয়েছে। এই আসনটি কোনো দিনই বিএনপির দুর্গ ছিল না। শুধু প্রার্থীর দুর্বলতার কারণে এখানে আওয়ামীলীগের বিজয় বারবার হাতছাড়া হয়েছে। এবার নির্বাচনী এলাকার জনগনকে সাথে নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেহাত এ আসনটি উপহার দেবো ইনশাল্লাহ।