মো: ফারুক, পেকুয়া:

হাসিনা আহমেদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদের স্ত্রী। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ নেত্রী চকরিয়া-পেকুয়ার সাবেক সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বও পালন করে। স্বামী সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ মামলা জটিলতা শেষে ভারতে অবস্থান করলেও স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত থাকলেও পেকুয়ায় আসার সাথে সাথে উষ্ণ সংবর্ধনায় সংবর্ধিত করে দলীয় নেতাকর্মীরা।

সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়াসহ রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারে আসলে ওই রাতটি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করে আবার চলে যায়।

সর্বশেষ ২০১৮সালের একাদশ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদীয় আসনে অংশ নিতে দুপুরে বিমানযোগে কক্সবাজারে আসেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর চকরিয়ায় নেতাকর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন। সন্ধ্যায় বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে পেকুয়ার গ্রামের বাড়িতে আসেন।

এদিকে সন্ধ্যায় হাসিনা আহমেদ দীর্ঘদিন পর গ্রামের বাড়িতে আসার খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাস্তার দু’ধারে মানববন্ধন আকারে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে হাসিনা আহমেদ চৌমহুনী এলাকায় পৌছলে নেতাকর্মীরা রাস্তা দু’ধারে দাঁড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখে। তবে হাসিনা আহমেদ গাড়ির ভিতরে অবস্থান করলেও অবস্থান করা নেতাকর্মীদের সাথে কোন কথা বলেননি। গাড়ি থেকে বের হয়ে হাত নাড়লেও গাড়ির ভিতর থেকে হাত নাড়তে দেখা গেছে। তার সাথে অবস্থান করা গাড়ি বহর দ্রুত স্বামীর বাড়ি সিকদার পাড়ায় চলে যায়। ওখানেও কোন নেতাকর্মীর সাথে কথা বলেননি তিনি। তবে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরান জাদিদ মুকুট দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেত্রী খুব ক্লান্ত। সকালে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবেন। সেখানে সবার সাথে কথা বললেন।

দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে বিএনপি নেত্রী কক্সবাজার হয়ে পেকুয়ায় এসেছেন। বড় ধরণের কোন শো-ডাউন হয়নি। চকরিয়ায় গাড়ি থেকে বের হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন। পেকুয়ায়ও কোন ধরণের বক্তব্য রাখেননি। বুধবার নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

তাকে এক নজরে দেখতে আসা রহিম উদ্দিন, ধুলাল, আবদু শুক্কুর বলেন, প্রিয় নেতার স্ত্রী চকরিয়া-পেকুয়ায় বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া হাসিনা আহমেদকে দেখতে আসছিলাম। কিন্তু তিনি গাড়ির ভিতর থাকায় আমরা তাকে দেখতে পায়নি। দেখতে না পেলেও তিনি আমাদের হৃদয়ে আছেন। আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাকে বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করব।

উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল আজিম বলেন, চকরিয়া-পেকুয়ায় প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। ম্যাডামকে এ আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। ম্যাডাম কক্সবাজার থেকে আসতে আসতে অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তারপরও পেকুয়ার দলীয় নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ ম্যাডামকে উষ্ণ সংবর্ধনা দিয়েছে। ম্যাডামও গাড়ির ভিতর থেকে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের বরণ করে নিয়েছে।

উপজেলা বিএনপি’র সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইউছুপ রুবেল বলেন, নেত্রী ঢাকা থেকে কক্সবাজার হয়ে চকরিয়ায় আসেন। সন্ধ্যায় পেকুয়ায় আসেন। নেতাকর্মীরা উষ্ণ সংবর্ধনা দিলেও কোন ধরণের শো-ডাউন হয়নি। অনেক ক্লান্ত থাকায় পেকুয়ার নেতাকর্মীদের সংবর্ধনার জবাবে গাড়ির ভিতর থেকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।