শাহেদ মিজান, সিবিএন:


কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের জন্য বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক দু’বারের সংসদ সদস্য আলমগীর মোঃ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ। আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) তাঁকে দলীয় মনোনয়নপত্র তুলে দিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। এই মনোনয়ন পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েছে আলমগীর ফরিদের অনুসারী।

তবে বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এখনই আলমগীর ফরিদ বা তাঁর অনুসারীদের খুশি হয়ে তেমন লাভ নেই! কারণ আলমগীর ফরিদকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। জোটগতভাবে তাঁকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়নি। জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতা এমনটি জানিয়েছেন।
সূত্র মতে, বিএনপি এখন দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এক আসনে একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়নপত্রও দেয়া হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত করা হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর।

মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনটি নিয়ে জোটগত চিন্তা নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট। এই আসনটিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনের জোটগতভাবে জামায়াাতের হামিদুর রহমান আযাদকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। তিনি ভোটে সংসদ সংস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও শীর্ষ নেতা হিসেবে হামিদুর রহমান আযাদের জন্য এই আসনটি দাবি করছে জামায়াত।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি এখন এককভাবে প্রতি আসনে মনোনয়নপত্র দিচ্ছে। জোটগত সিদ্ধান্ত হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জোটগত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে শরীকদলকে নির্দিষ্ট আসন ছেড়ে দিতে হবে। ফলে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া বিএনপির অনেক দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর জোটগত এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ফলে ততক্ষণ পর্যন্ত মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে আলগীর ফরিদের মনোনয়ন নিশ্চিত নয় বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে হামিদুর রহমান আযাদকে প্রার্থী করার বিষয়ে জামায়াত হার্ডলাইনে। কারণ তিনি সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও এই আসনে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। তাই জোটগত নির্বাচনে কোনোভাবেই এই আসনটি ছাড়বে না জামায়াত।

অন্যদিকে আপাতত হামিদুর রহমান আযাদের সামনে ঝুলছে আইনী খড়গ! বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আইনী বাধার কারণে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে আগামী ২ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ওইদিনই আদালতের সিদ্ধান্ত জানাবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা। তবে আদালতের ইতিবাচক সিদ্ধান্তে হামিদ আযাদের নির্বাচন করার অন্তত ৮০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে! যদি তিনি নির্বাচনের জন্য যোগ্য ঘোষিত হন তবে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘দুটি মামলার বিষয়ে আগামী ২ ডিসেম্বর হামিদুর রহমান আযাদের আদালতের যে রায় রয়েছে সেটাতে তিনি নিশ্চিত নির্বাচন করতে পারবেন। কারণ বিষয়টি তেমন জটিল নয়। ফলে আমরা যেকোনো মূল্যে এই আসনে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে চাইবো এবং পাবো বলে আমরা শতভাগ নিশ্চিত।’

তবে বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, আদালতে রায়ে যদি হামিদুর রহমান আযাদ নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষিত হন তবে ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে আলমীর ফরিদ প্রার্থী হবে- এটা শতভাগ নিশ্চিত!