মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারের বিএনপি-জামায়াতের ১০ জন নেতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন লাভ করেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ২০০ জন নেতাকর্মীকে আসামী করে নাশকতার অভিযোগে এই মামলাটি গত ৭ নভেম্বর দায়ের করা হয়। আগাম জামিনপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম মমতাজুল ইসলামের পুত্র জেলা যুবদল নেতা জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলমগীর তাজ জনি, ঈদগাঁহ সাংগঠনিক উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ আজমগীর, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সহ সভাপতি নুরুল আজিম, খুরুস্কুলের ফয়েজউল্লাহ মেম্বার, যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন, রুহুল আমিন, সিরাজুল হক, জামায়াত নেতা রিদওয়ানুল হক জিসান ও রবিউল আলম। জামিনপ্রাপ্তরা ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার হাইকোর্টের ১৬ নং বেন্ঞ্চের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহামদের আদালতে আগাম জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে তাদেরকে ৮ সাপ্তাহের আগাম জামিন প্রদান করেন। আগাম জামিনের বিষয়টি কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলের একান্ত সহকারী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। আগাম জামিনপ্রাপ্তদের পক্ষে হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রীম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও এডভোকেট রায়হান। এই মামলার ২০০ জন আসামীর মধ্যে ৬০ জনকে এজাহারভূক্ত ও ১৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই দূর্লভ চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা ও ১৯০৮ সালের বিষ্পোরক আইনের ৩/৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা করেছেন। যার কক্সবাজার থানা মামলা নং ৩১ এবং জিআর মামলা নং ৯৩৩। মামলার ১ নং আসামী কক্সবাজার পৌর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কাসেম এখন জেলে রয়েছেন। এই মামলার এজাহারভূক্ত আসামী মঙ্গলবার মৃত্যূবরনকরা কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিম উল্লাহ গত ১৪ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের একইবেন্ঞ্চ থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন।