ডেস্ক নিউজ:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কড়া নাড়ছে ঘরের দরজায়। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে সারাদেশে নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার জন্য চূড়ান্ত তালিকা করা, জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করার কাজ চলছে। প্রার্থীরা শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকদের জিজ্ঞাসা- কারাা পাচ্ছেন মনোনয়ন?

অাগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ সব দল মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছে। বিশেষ করে দলীয় মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন রেখে অধিকাংশ আসন প্রায় চূড়ান্ত। দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে কয়েকদিন ধরে মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং পার্টির নেতাদের মাধ্যমে অনেকেই জেনে নিচ্ছেন তার নামটি আছে কি না। কোনোভাবে নামটি জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গেই তার সমর্থকদের খবর দিচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিষ্টি বিতরণ করছেন। আনন্দ মিছিল করছেন। কিন্তু সঙ্গে সেই চিন্তাও আছে, মনোনয়ন পাবেন তো?

কিছু কিছু প্রার্থী তাদের মনোনয়ন সম্পর্কে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর পাচ্ছেন। কেউ বলছেন, তালিকায় তার নাম আছে, কেউ বলছেন, তালিকায় নেই। প্রকৃত তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের।

এদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার এখনো চলছে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা আওয়ামী লীগের চেয়েও বড়। তারাও প্রার্থী বাছাইয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও টেনশনে আছেন। যেহেতু পার্টির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে অবস্থান করছেন। সে কারণে মনোনয়ন বাছাইটা অনেকটা কঠিন হচ্ছে। কারণ, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান মাঠের নেতাদের যেভাবে চেনেন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা সেভাবে মূল্যায়ন করতে পারবেন কি না, সেটা নিয়েও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না যে, আমি অমুক আসনের প্রার্থী। যদি কেউ কোনো আসনের প্রার্থিতা নিজে ঘোষণা করেন, সেই দায়িত্ব তার নিজের।

দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ নভেম্বর। এর আগেই জানিয়ে দেয়া হবে। অফিসিয়ালি জানানোর আগে কেউ মনোনীত প্রার্থী দাবি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তালিকা মনগড়া বলে দাবি করেন কাদের।

তিনি বলেন, জোটগতভাবেই দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়ন নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা মনগড়া, এগুলোর বাস্তবসম্মত ভিত্তি নেই।