নুরুল কবির, বান্দরবান:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ নং বান্দরবান আসনে ভোট গ্রহনের জন্য ১৪ টি ভোট কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন দূর্গম এলাকা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ভোট গ্রহনের জন্য এসব কেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও জনবল পৌঁছাতে হয়। জেলার ১৭৬ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪ টি ভোট কেন্দ্র দূর্গম এলাকা হওয়ায় এগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও জনবল পৌছাতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের প্রয়োজন হবে। কেন্দ্র গুলো হল রুমা উপজেলায় নুনতিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকনিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিংলক পাড়া বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
থানচি উপজেলায় রেমাক্রী বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় মধু বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট মধু সাখইউ কারবারী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন্দু গ্রুপিং পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইথোয়াইহ্লা কারবারী পাড়া বে- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিন্না পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আলিকদমে মাংরুম পাড়া বে- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুরুকপাতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোয়ামুহুরী মৈত্রী স্কুল রোয়াংছড়ি উপজেলায় রনিন পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৈয়কুমার পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
জেলার ৭টি উপজেলা ২টি পৌরসভা ও ৩৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে ৩০০ নং সংসদীয় আসন বান্দরবান। জেলা নির্বাচন অফিসের মতে এ আসনে মোট ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৩ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ২৯ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪ জন।
এখানে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের প্রভাব থাকলেও মূলত আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যেই লড়াই হয়ে থাকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার সর্বত্র চলছে নির্বাচনী আমেজ। এ জেলায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মহিলা সাংসদ ম্যাম্যচিং ও সাবেক সাংসদ ও রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ রেজা । সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়েছেন ডনাই প্রু নেলী।
পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য জনসংহতি সমিতি এবং ইউপিডিএফ এর পক্ষ থেকে এখনও কেউ মনোনয়ন না নিলেও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বলে জানান দলটির নেতারা। সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকায় ১৯৯২ সাল থেকে আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে। তবে এবার দলের দুই বহিস্কৃত নেতা মনোননয় চাওয়ায় বিপাকে একক প্রার্থী বীর বাহাদুর। তাই আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে আওয়ামীলীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হযে দাড়িয়েছে। তবে দলের নেতারা বলছেন বীর বাহাদুর এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন সে হিসেবে আবারো নির্বাচনে আওয়ামীগ প্রার্থী জয়লাভ করবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।