আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ নং রাঙামাটি আসনে সাবেক যুগ্ম জেলা জজ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানকে দল থেকে মনোনয়ন নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটির রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন স্তুরের নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুরে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় সংসদের ২৯৯নং আসনে দীপেন দেওয়ান ছাড়া অন্য কাউকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দিলে কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপি নেতৃমূল পর্যায় থেকে আগত নেতাকর্মীরা বলেন, ১১/১ জরুরী অবস্থায় জেলা বিএনপি পরিবারের হাল ধরে বিএনপিকে মাঠ পর্যায়ে ধরে রেখেছেন সাবেক জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক জেলা যুগ্ন জজ ও কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ান দলের কান্ডারি হিসেবে বিএনপিকে ধরে রেখেছেন। দীপেন দেওয়ানকে বাদ দিয়ে এ আসনে অন্য কেউকে ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী দিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি সুজিত দেওয়ান জাপান, হাজী জহির আহমেদ সওদাগর, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনসহ যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি যদি এ আসনে অন্য চিন্তা ভাবনা করে তার দায়-ভার কেন্দ্রীয় কমিটিকে নিতে হবে। হঠাৎ কেউ যদি বস্তন্তের কোকিলের মত আগম ঘাটয়ে প্রার্থী দাবি করে তাকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নেবেন না। দীপেন দেওয়ানের জনপ্রিয়তা আকাশ চম্পকি। তার প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে পাহাড় জুড়ে। তাকে পাহাড়ে একজন সৎ যোগ্য নেতা হিসেবে পাহাড়ি বাঙালি সবাই ভোট দেবেন। বিগত ১২ বছরে দীপেন দেওয়ান দলের জন্য নিবেদীত প্রাণ হিসেবে কাজ করে আসছেন। কোন ক্রমেই তাকে বাদ দিয়ে এই আসনে অন্য কেউকে নমিনেশন দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

নেতৃমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, এ আসন থেকে দীপেন দেওয়ানকে প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দিলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু নেতা তৃণমূলের সাথে কথা না বলে কি করে ভাবছে মনিস্বপনকে নমিনেশন দেবে? মনিস্বপন জেলা বিএনপিকে ভেঙ্গে তছনছ করে চলে গেছে। মীর জাফর জাতীয় বেইমান মনিস্বপনকে আবার বিএনপিতে ফিরিয়ে আনলে তা মেনে নেবেন না তৃণমূল বিএনপি পরিবান।

তারা আরো বলেন, এত দিন মনিস্বপন দেওয়ান কোথায় ছিল? গত বারটি বছর তথাকতিথ মনিস্বপন দেওয়ান কোথায় ছিল? একবারও দলের খোজ খবর তিনি নেননি। তিনি এলডিপিতে যোগ দিয়েছেন সেখান ও তার ঠাই হয়নি। সেখান থেকেও তাকে বহিস্কার করা হয়েছে। নির্বাচন আসছে এখন সে বিএনপিতে আর্বিভাব ঘটেছে। এধরনের নেতা আমরা মানিনা মানবো না।

তৃণমূল নেতারা জোর দিয়ে বলেন, যদি এ আসনে দীপেন দেওয়ান ব্যতিত কেউকে নমিনেশন দেওয়া হয় তা হলে কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাবে এ জেলার বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে মনিস্বপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তারা বলেন, মনিস্বপনকে এ আসনে প্রার্থী দিলে নৌকার বিজয় হবে। আর দীপেন দেওয়ানকে দিলে অবশ্যই জয়ের সম্ভাবনা শত ভাগ।