সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ রাখাইন পাড়ায় ডেমারাখিতা সংগঠনের আয়োজনে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব। শুক্রবার দুপুরে ধর্মীয়, জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন স্থান পদক্ষিণ করে পুনরায় মন্দিরে এসে শেষ হয়। সেখানে পঞ্চশীল গ্রহণ পূজার্থীরা। সন্ধ্যার পর ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোকপাত করেন ভান্তেগণ। পরে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের সমাপণী দিনে দান করা হবে পবিত্র কঠিন চীবর। এছাড়া পূজার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ধর্মীয় গুরুদের নানা দ্রব্যদি দান করবেন।

ডেমারাখিতার সদস্য জ জ ও মং রাখাইন বলেন, এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় মহাউপাসিকা বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা এবং সুতা রঙ করে কাপড় বুনে তা সেলাই করে চীবর (ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করে এই কঠিন চীবর দানের সূচনা করেন আড়াই হাজার বছর আগে। এই পদ্ধতিতে দান করলে কায়িক, বাচনিক মানসিকভাবে অধিক পরিশ্রম হয় এবং অধিকতর পুণ্যলাভ হয় বলে বৌদ্ধ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। কঠিন চীবর দানোৎসবে দায়ক-দায়িকারা বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার, বুদ্ধ মূর্তি, কল্পতরু, হাজার প্রদীপসহ নানাবিধ দান করে। এছাড়া চন্দন ও ডাবের পানি দিয়ে বুদ্ধমূর্তিকে স্নান করানো হয়। ১৮ নভেম্বর উৎসবের সমাপনী হবে।