আহমদ গিয়াস
দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী মুসলমানদের জুমার দিন আজ। জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য একটি আধ্যাত্মিক কল্যাণমূলক ধর্মীয় কাজ হিসাবে বিবেচিত। এই দিনে আল্লাহর কাছে ক্রীত অপরাধের জন্য ক্ষমা চায় বান্দারা। নিজ ও অন্যের কল্যাণ কামনা করে জুমায় দোয়া করা হয়। আল্লাহ তার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। ধ্বংসের চেয়ে ন্যায় ও কল্যাণের পথে ফিরে আসাকে খুব পছন্দ করেন বলে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহা ক্ষমাশীল।
আল্লাহর দৃষ্টিতে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তান। শয়তানকে দেখা যায় না। সে তার পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে মনের মধ্যে প্ররোচনা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ, জুলুম, ঘৃণা, কলহ, প্রতারণা শয়তানের প্রধান অস্ত্র। মানুষ এটা পছন্দ করে, তবে তারা ব্যতীত যারা আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করেছে।
শয়তান মানুষকে বার বার ধোঁকা দিয়ে কুপথে পরিচালিত করে। কিন্তু তা নিয়ে মানুষের নিজের মধ্যে অনুশোচনা আসলে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তার নির্ধারিত পথে ফিরে এলে তিনি বার বার ক্ষমা করে দেন। এভাবে পরম করুণাময় আমাদেরকে বার বার তাঁর অনুগ্রহ দান করেন।
আজ জুমার দিনে আল্লাহর কাছে আমার প্রধান কামনা হবে তিনি যেন নাজিমউদ্দিনের মত ভুল পথে চলা রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের সততা ও ন্যায়ের পথে ফিরে আসার অনুগ্রহ দান করেন এবং তার মতো আরো যারা আছেন তারা যেন আমাদের মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম ও প্রধানমন্ত্রী সচিব সাজ্জাদুল হাসানদের মতোই সৎ ও ন্যায়পরায়ণ কর্মকর্তা হিসাবে পরিণত করেন (আমিন)।
আর পাশাপাশি অনুগ্রহ করে আপনারাও দোয়া করেন। শুনেছি, ওই সরকারি কর্মকর্তা এখন অনুতপ্ত। নিশ্চয় আল্লাহই এটা ভাল জ্ঞাত। তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমরা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি। কারণ ক্ষমা মানুষেরও একটা ভাল গুণ, যা আল্লাহর খুব পছন্দের।
বৃটিশীয় বর্তমান রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সুবিচার পাওয়া কঠিন। তাই ‘মিডিয়ার বিচারে’ মনের শান্তি আসে। আমরা ব্যক্তি নাজিমকে কিছু করিনি। আমরা তার কাজের নিন্দা জানিয়েছি। মিডিয়ায় তার কঠিন বিচার হয়েছে। দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের তুফান প্রমাণ করে দিয়েছে মানুষের মন ন্যায় ও কল্যাণমুখী। অনুশোচনা এবং ক্ষমা করে দেওয়াও অত্যন্ত কল্যাণময় কর্ম। আপনারা কক্সবাজারের সাবেক এসিল্যান্ড নাজিমউদ্দিনকে ক্ষমা করে দিন। দয়া করে তার সম্পর্কে আর কটু মন্তব্য করবেন না। বরং আজ জুমার দিনে নাজিমসহ অন্যান্যদের হেদায়তের জন্য দোয়া করি। কারণ আমাদের দোয়া কবুল হলে সমাজ অনেক সুন্দর ও শান্তিময় হবে। সমাজে ফিরে আসবে স্বস্তি। আর তা আল্লাহর কতই না অনুগ্রহ হবে।
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য।