ক্রীড়া প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে বাঙ্গালীর প্রাণের খেলা বীচ কাবাডির জমজমাট আসর শুরু হয়েছে।  ১৫ নভেম্বর বিকালে দেশীয় কাবাডির নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ভাসাভী ফ্যাশন্স লিঃ এর পৃষ্টপোষকতায় দিবা-রাত্রির ভাসাভী বীচ কাবাডি শুরু হয়। উদ্বোধনী ম্যাচের পুরুষ বিভাগে রানিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী সরাসরি সেটে চট্টগ্রাম জেলাকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। আটটি পুরুষ ও ছয়টি নারীদলের অংশগ্রহণে ৪দিনব্যাপী মেগা এ বীচ কাবাডির শুভ উদ্বোধন করেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র নাছির বলেন- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রীড়াসহ প্রতিটি বিভাগে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট এখন ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব কাবাডিতেও বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করেছে। খেলোয়াড়দের সদিচ্ছা, একাগ্রতা ও মানসিক দৃঢ়তা থাকলে ক্রীড়াশৈলী দিয়ে কাবাডিতে বিশ্ব জয় করা সম্ভব। কক্সবাজার পুলিশ সুপার এ,বি,এম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, ঢাকা পুলিশ হেড কোয়াটার্সের পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন- ভাসাভী বীচ কাবাডির সদস্য সচিব মোঃ মনির হোসেন। এর আগে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী দল সমূহের খেলোয়াড় কর্মকর্তাদের সাথে পরিচিত হন। পরে তিনি রং-বেরংয়ের বেলুন উড়িয়ে চার দিন ব্যাপী বীচ কাবাডির শুভ উদ্বোধন করেন। বীচ কাবাডি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলোঃ পুরুষ- বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ জেল, চট্টগ্রাম জেলা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও মৌলভীবাজার জেলা। নারী দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আনসার, নড়াইল জেলা, স্বাগতিক কক্সবাজার জেলা, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজেএমসি ও জামালপুর জেলা। পুরুষ বিভাগের আটটি দল দুটি গ্র“পে এবং নারী দলের ছয়টি দল পৃথক দুটি গ্র“পে লীগ পদ্ধতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রথমবারের মতো বীচ কাবাডির সকল খেলাগুলো চ্যানেল-নাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহায়তায় এ বীচ কাবাডির উভয় গ্র“পের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দল সেমিফাইনালে খেলবে এবং সেমিফাইলে বিজয়ী দল ফাইনালে খেলবে। আগামী ১৮ নভেম্বর ২টি গ্র“পের জমজমাট ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে টুর্ণামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, বাঙ্গালীর জাতীয় খেলা, প্রাণের খেলা কাবাডির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির বীচ কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আগামীতে কাবাডি ফেডারেশন কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্য্য ও দেশীয় কাবাডির ঐতিহ্য একাকার করে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে দেশীয় পর্যটনের রাজধানী কক্সবাজারে ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে ভাসাভী বীচ কাবাডির আয়োজন করেছে।