সিবিএন ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেটা এখনও ঝুলে আছে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর। ইতোমধ্যে দু’টি মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী দুই বছরের বেশি সাজা হলে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।

আপিল বিভাগ যদি তার সাজা স্থগিত রেখে আপিল গ্রহণ করেন, কেবল সেক্ষেত্রেই তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে আপিল করা হবে।

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি পারবেন না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত যাই হোক, দলের পক্ষ থেকে তার জন্য ইতোমধ্যেই তিনটি মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছে। স্বামী জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া জেলার দু’টি ও পৈত্রিক বাড়ি ফেনী থেকে একটি মনোনয়ন নেওয়া হয়েছে তার জন্য।

এদিকে দলের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি ফরম কেনা হলেও এই তিনটির মধ্যে দু’টি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে তার দুই পুত্রবধূর জন্য। একটি বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান অন্যটি প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির জন্য।

দু’জনই বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। নির্বাচনের আগে তারা দেশে ফিরবেন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে লন্ডনের একটি সূত্র জানায়, তাদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম।

জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, এটা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তাদের প্রার্থী করা হবে কিনা বা কোন আসন দেওয়া হবে সে বিষয়টি আমার জানা নেই।