শাহেদ মিজান, সিবিএন:
দীর্ঘ ১২ বছর পর বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তার এই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবির রিজবী স্বাক্ষরিত একটি পত্র এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে বাতিল হওয়া জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আলমগীর ফরিদ।  তবে সেই নির্বাচন বাতিল হয়ে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তখন জেলে থাকায় আর নির্বাচন করতে পারেননি আলমগীর ফরিদ। সেই থেকে জেলা বিএনপি থেকে দূরে ছিলেন আলমগীর ফরিদ। এর মধ্যে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজের ভাতিজা হাবিবুল্লাহকে বিদ্রোহী প্রার্থী করায় আলমগীর ফরিদকে দলকে বহিস্কার করা হয়। সেই থেকে তিনি ও তার অনুসারীদের বাদ দিয়ে মহেশখালী-কুতুবদিয়া বিএনপির রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে সালাহ উদ্দীন আহমদের অনুসারীরা।


তবে আলমগীর ফরিদের অনুসারীদের দাবি, আলমগীর ফরিদকে দল থেকে দূরে রাখা হলেও মহেশখালী-কুতুবদিয়া মূল বিএনপি তাঁর সাথেই ছিলো এবং এখনো রয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের অন্তত ৮০ ভাগ নেতাকর্মী এখনো আলমগীর ফরিদের পক্ষে রয়েছে। স্বাভাবিক তথ্যেও এমন চিত্র পাওয়া যায়।

এদিকে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের পরই মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আলমগীর ফরিদ। আজকের মধ্যে তা জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী তারেকুর রহমান।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আলমগীর ফরিদ বলেন, ‘আমাকে বহিস্কার করা হলেও আমি বিএনপি ও শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে একচুলও নড়িনি। এত দীর্ঘ সময়ে সব সময় আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ছিলাম। দল আমাকে একটু পরে হলেও মূল্যায়ন করেছেন। এই জন্য আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজবীসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’