সিবিএন ডেস্ক:
বর্তমান মন্ত্রিপরিষদই নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের খবর জানাতে সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীও অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিডিউল ডিক্লেয়ারের পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদে রদবদল হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, না, এরকম কোনো সংবাদ নেই। থাকলে আপনাদের বলব।

তিনি জানান, মন্ত্রিসভার নিয়মিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৮ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ এর খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা কোনো আইন পাস করতে পারবে কি না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিপরিষদ রুটিন ওয়ার্ক চালিয়ে যাবে। এটা (আইন অনুমোদন) কেবিনেটের কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে, আর এটাকে রুটিনই বলা যায়। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প এগুলোকে স্পর্শ করে না।

আইন করা তো রেগুলার সরকারের কাজ- এ কথার জবাবে তিনি বলেন, সরকার তো রেগুলার আছে, কোনো সমস্যা তো দেখছি না। নির্বাচনকালীন সরকার, এটা তো আমাদের দেওয়া নামই, সাংবিধানিক নাম নয়।

তিনি আরো বলেন, কেবিনেটে আইন উঠতে পারে। আইন করতে বাধা নেই। সেটা সংসদে তো আর পাস হচ্ছে না। সংসদ তো নাই।

টেকনোক্রেট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আজকের বৈঠকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তারা মন্ত্রী হিসেবে আছেন।