সিবিএন ডেস্ক:
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। এছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে কোনো রাজনৈতিক মামলাও করা যাবে না।

শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষুদে বার্তায় এই নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ক্ষুদে বার্তার শিরোনামে লেখা ছিল ‘SUSPENSION OF POLITICAL ARREST (রাজনৈতিক গ্রেফতারে স্থগিতাদেশ)’। পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ও তার ঊর্ধ্বতনদের পাঠানো এই ক্ষুদে বার্তায় কমিশনার বলেন, ‘You are requested not to make any political arrest and not to record any political case without our knowledge until further order as instructed by hon home minister. Thanks, PC DMP’ (পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমাদের অবগত না করে কোনো রাজনৈতিক গ্রেফতার ও মামলা না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)।

এই বার্তার কিছুক্ষণ পর আরেক বার্তায় কমিশনার জানান, ‘CLARIFICATION : No bar to execute warrants of Arrest, No bar to lodge case if any incident happens, It’s a short term strategy to see the political developments in the country.’ (ব্যাখ্যা : গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার ও কোনো দুর্ঘটনার মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে এটি একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা)।

এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশ কখনও সুস্পষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা গোত্র বিশেষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। বাংলাদেশ পুলিশ একটি জাতীয় সংস্থা হিসেবে কখনওই এমন করে না। এটি পুলিশের পেশাগত আচরণ ও নীতির পরিপন্থী। পুলিশ আগে থেকেই রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেফতার করতো না, মামলা দিত না। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক (লিখিত) কোনো নির্দেশনা পাইনি।’

তবে পুলিশের একাধিক উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ডিএমপি কমিশনারের মোবাইল থেকে এই ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার বিষয়টি জাগো নিউজের কাছে নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম একটি দাবি ছিল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করা। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের গত বৃহস্পতিবারের রাজশাহী অভিমুখের রোডমার্চটিও বাতিল করা হয় এই কারণে। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান জাগো নিউজকে বলেন, এই নির্দেশনা যদি আন্তরিক হয় তাহলে মঙ্গল, আর যদি রাজনৈতিক হয় বিপজ্জনক। আমাদের অন্যান্য দাবিগুলোকেও তাদের মানতে হবে।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা-গায়েবি মামলা ও গ্রেফতারকৃতদের তালিকা দেন।