সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

“ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এই প্রতিপাদ্য উল্লেখ করে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লাল সবুজের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আজ বিশ^ দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। তাই

সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির এই দেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসবেই যেন সব ধর্মের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করার আহবান জানান জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার বিকেলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবরদান উপলক্ষ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পূর্ব বড়–য়া পাড়ার কেন্দ্রীয় ধর্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ ও একুশে পদকে ভুষিত উপ-সংঘরাজ ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথেরো এর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির জেলা সভাপতি রবীন্দ্র বিজয় বড়–য়া, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ছিদ্দিক লালু ও কেন্দ্রীয় ধর্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুগতপ্রিয় ভিক্ষু। এছাড়া দুর-দুরান্ত থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে আগত পুণ্যার্থিদের উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিহার পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা মদন বড়–য়া, ধর্মাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক অরুন বড়–য়া, কঠিন চীবরদান উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি টিটু বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক তপু বড়–য়া ও অর্থ সম্পাদক অন্তর বড়–য়াসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করার পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব করেন। সেই থেকে বর্ষাবাস শেষে দিবসটি উদ্যাপন করে আসছেবৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা।