অধ্যাপক আলমগীর মাহমুদ


ঘরের ভাত খেয়ে বনের মোষ তাঁড়ানো মানুষের দেখা মিলা ভাগ্যের।এমন মানুষটিকে ঘরের বউ,ছেলেরাও ইদানীং কম পছন্দ করে।তাদের এককথা কিসের মানব কল্যাণ? কি লাভ? তারা কি তোমারে মনে রাখবে!এ গুলোতো আগের জমানার মানুষেরা করত।এখন কি মানুষ আগের দিনের মত আছে কৃতজ্ঞ!

তুমি আমাদের জন্য কি রেখে যেতে পারছো সেটা ভেবেছো? যে যুগে মসজিদ, মন্দিরের শৌচাগারটি রয় তালাবদ্ধ। অথচ সেই সাধারণ জনগণের টাকাই হয় তৈরি, পরিস্কারও হয়।সেই মানব কল্যাণের মুণিবের ঘরের এইদশা তুমি শিক্ষা না নিয়ে নিঃশেষ চিন্তায়ই রইলে!

প্রাক্তন ছাত্র ফারুক।উখিয়া বাড়ি।এন,জি,ও,র কর্তা।বুকে দুখ নিয়ে কয়,স্যার একদিন হঠাৎ আমার হোন্ডাটি কোর্টবাজারে একসিডেন্ট হয়।আমি ছিটকে পড়ি অনেকদূরে।চেতনা হারাই ঠিকই তবে শরীর পুরোপুরি নিজীব ছিল না। প্রতিহত করার মত সক্ষমতা নিজীব,পরাভূত ।

জন কোলাহল হাজার জনতার।কেউ আমারে তুলছে না।অনুভব করছি আমার পকেটে কারো হাত।মোবাইলটা নিল।এরপর পকেটে থাকা টাকাটাও ক্যাপছারে নিচ্ছে। আমি বোধে সবই আঁচ করতে পারছি ঠিকই। শব্দ করার, হাত নাড়ানোর শক্তির সবলতা আমার নেই।তবে কানে বাজছে হাতের কারবারীর আশপাশে জনবহুল কন্ঠনালী।

ঠিক এমনই দিনে গরীব ছাত্রটির হাতে বই, কলম, কাগজ,অসমর্থদের স্কুল কলেজের মাইনা,যারা তুমব্রুর সন্তান ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পায় তাদের প্রণোদনায় পুরস্কার, ফরমফিলাপের টাকা পরিশোধে কড়ি নিয়ে আগবাড়ানো।

চরমভাবে ঠেকে যাওয়া এলাকার বিয়ে শাদীতে অনুদান।তুমব্রু ইউনিয়নে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যারা ভাল রেজাল্ট করে তাদের প্রণোদনা পুরস্কার। উক্ত ইউনিয়নের যারা এলাকায় অথবা বাইরে অর্থাভাবে পড়ার নির্বাহে ব্যর্থ তাদের মাসিক নির্বাহ খরচ দেয়া ইত্যাদি লক্ষ্য সামনে রেখে ইউনিয়নে মানব কল্যাণে ব্রতি হয়ে তেরজন মিলে গড়ে তুলে “তুমব্রু শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন “। সমন্বিত মাসিক ধার্য হারের সঞ্চয় ফান্ড।সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশই শিক্ষক।

তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির বাৎসরিক একটা বৃত্তি পরীক্ষা নেয়।যারা পাশ করে তাদের একটি ক্রেষ্ট, সার্টিফিকেট, নগদ টাকা। বছরে একবার পুরুস্কার বিতরণের দিন ধার্য হয়।সেদিনই নুতন কমিটি গঠিত হয়।
পোস্ট তিনটি সভাপতি, সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষ।পর্যায়ক্রমে ১৩ জনই সভাপতি, সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হইবে।এই বছর যারা নির্বাচিত পরবর্তী বছর তারা গণনায় বাদ। নির্বাচিত হবে আর তিনজন।  সার্কেলিক হারে আত্নকেন্দ্রীক আত্নমানবতার জিঞ্জিরে বেড়ি পরানো জমানায় মানুষর
কল্যাণে পূর্ণার্থীদের আহলান সাহলান…!


লেখক : বিভাগীয় প্রধান।সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।উখিয়া কলেজ কক্সবাজার। alamgir83cox@gmail.com