ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারের কিয়কপিউ শহরে বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর কয়েকশ’ কোটি ডলার ব্যয়ে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর বানানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন।

দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের তৈরি তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হবে এটি। এর মধ্যে ভারতের আশেপাশেই আছে দু’টি চীনা বন্দর। তাই আরো একটি গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির এ চীনা পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে নয়াদিল্লি।

চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের আওতায় বেইজিং ও মিয়ানমারের নয়াপিদোর মধ্যে বৃহস্পতিবার এ গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির চুক্তি সই হয়েছে। প্রকল্পটিতে অর্থায়নসহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে বহু বছরের আলোচনার পর এ চুক্তি হল।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের গোয়াদরে আরব সাগরের ওপর ইতোমধ্যেই একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ করছে চীন। যার সম্মুখভাগেই আছে ‍মুম্বাই উপকূল।

অন্যদিকে, ভারত সাগরের ওপর শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চীন। বাংলাদেশের চট্টগ্রামেও চীন একটি বন্দরের অর্থায়ন করছে।

ভারতের আশঙ্কা, প্রতিবেশী দেশগুলোতে এসব বন্দর নির্মাণ করে ভারত মহাসাগরে দেশটিকে ঘিরে ফেলতে চাইছে চীন। মিয়ানমারও চীনের বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কার কারণে তাদের কয়েকটি প্রকল্প সীমিত করেছে।

অবশ্য চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ বন্দর তৈরির প্রকল্পকে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প’ বাস্তবায়নের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে।

গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দরটির ৭০ শতাংশের অর্থায়ন করবে চীন। আর বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ দেবে মিয়ানমার।