এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ শত বছরের গ্রামীণ চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে হাজারো গ্রামবাসী। এতে দুৃর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শত শত শিক্ষার্থী।এ নিয়ে ওই এলাকার ভোক্তভোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

সরেজমিনে দেখাগেছে, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যমপাড়া সড়কটি জনসাধারণ শত বছরের যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে পাঁচটি গ্রামের ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে অধ্যায়নরত অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ দুই হাজার জনগোষ্ঠী যাতায়ত করে আসছে। বদরখালী-মহেশখালী সড়কের দরবেশ কাটা ষ্টেশন থেকে সড়কটি ওই এলাকার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বসতভিটা পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব প্রায় সাড়ে চারশত মিটার।বর্তমানে রাস্তাটি প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর একমাত্র চলাচলের পথ।সম্প্রতি প্রাচীনতম যাতায়তের এ সড়কটি স্থানীয় আজিজুল হক চৌধুরী ইন্ধনে তার দু’পুত্র আকিদুল হক ও রিয়াজুল হক জুলিয়ান টিনের ঘেরা দিয়ে বন্ধ করে দেন। হঠাৎ করে চলাচল রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার সুবাধে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শত শত ছাত্র-ছাত্রীরা বিকল্প পথ দিয়ে যাতায়াতের কারণে চরম বিপাকে ও দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।

জানাগেছে, ২০০৮ ও ২০০১ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষানাবেক্ষন কর্মসূচির (কাবিখা) বরাদ্ধের অর্থায়নে নির্মিত সড়কটি মেরামত করা হয়। সরকারী বরাদ্ধের নির্মিত প্রাচীনতম চলাচল সড়কটি বন্ধ করে দেয়ায় এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় মোজাম্মেল হক চৌধুরীর ছেলে প্রবাসী শাখাওয়াত হোসেন জোসেফ অভিযোগ করে জানান, তার পিতা মোজাম্মেল হক চৌধুরী সাথে একই এলাকার আজিজুল হক চৌধুরী, এস্তেফাজ চৌধুরী ও একরামুল হক চৌধুরীর সাথে পারিবারিক জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে শত বছরের যাতায়তের চলাচল রাস্তা বেআইনী ভাবে জনতা দিয়ে টিনের ঘেরা দিয়ে বন্ধ করে রাখেন। সড়কটি যাতায়াত ব্যাপারে উম্মুক্ত করে দেয়ার জন্য তাগাদা দেয়ার পরও আজো উম্মুক্ত করে দেয়নি। তবে কি কারণে রাস্তাটি বন্ধ করেছে তা এলাকাবাসী এখনো অবগত নয়। তিনি বলেন, যাতায়ত পথ বন্ধ রাখার কারণে এলাকার শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এতদ্ব ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধির কাছে চলাচল রাস্তা বন্ধ করার বিষয়ে অবহিত করার পরও আজো কোন সুফল হইনি।সড়কটি এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়তে জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, এ ধরণের ঘটনার ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। তবে কেউ যদি সরকারী চলাচল রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে থাকে, তাহলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।##

এম.মনছুর আলম

চকরিয়া প্রতিনিধি

তারিখ-০৯.১১.১৮ইং।