আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি : 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেউচিয়া গ্রাম থেকে অপহৃত ৭ বছরের শিশু রাকিব হাসানকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী থেকে অপহরকারী সহ জনতা কর্তৃক আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বাইমারী ইউনিয়নের তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন কাপ্তাইশিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত অপহরকারী কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম- ২২।

অপহরনকারীকে আটক ও শিশুটিকে উদ্ধারকারী একই গ্রামের বাসিন্দা সরওয়ার জাহান সহ সাথে থাকা অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নিজ বাড়ী থেকে বাইশারী বাজারে আসার পথে সড়কের কাপ্তাইশিয়া নামক স্থানে পৌছলে অপহরনকারী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ৭ বছরের শিশু রাকিব হাসানকে দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সঠিক উত্তর দিতে না পারায় স্থানীয় বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘটনাটি মোবাইল ফোনে জানালে তাৎক্ষনিক তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মোঃ বেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে।

উপ-পরিদর্শক মোঃ বেলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরনকারীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরনকারী জাহাঙ্গীর আলম সাথে থাকা শিশু রাকিব হাসানকে সাতকানিয়া থেকে অপহরনের কথা স্বীকার করেছে।

অপহৃত শিশুর পিতা জয়নাল আবেদীন জানান, অপহরনকারী জাহাঙ্গীর আলম তার বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবৎ দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আসছিল। ৮ নভেম্বর সকালেও প্রতিদিনের ন্যায় আমার শিশু বাচ্চাটিকে নিয়ে ক্ষেতে যাওয়ার কথা বলে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নামা নাম্বার থেকে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে আসছিল। উক্ত ঘটনায় তিনি সাতকানিয়া থানায় একখানা সাধারন ডায়েরী করেছেন বলে জানায়।

অপহরনকারী জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সে এ ঘটনায় একা জড়িত নয়, তার এলাকার একটি চক্রের কথায় শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। উক্ত ঘটনায় তারাও জড়িত রয়েছে।

বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ মোঃ মাইনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃত শিশুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং অপহরনকারী জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্ত কেন্দ্রের হাজতখানায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে সাতকানিয়া থানার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপহৃত শিশু ও অপহরনকারীকে হস্থান্তর কর হবে।