শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও এবং রামু উপজেলার ঈদগড়, রশিদ নগরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে অপরাধ সংগঠিত করে যাচ্ছে তারা। বার বার অপহরণ, ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও জড়িত কাউকে আটক করতে না পারায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনুরূপ ভাবে ৮ নভেম্বর বেলা ১২ টার দিকে শাহাব উদ্দীন নামের এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায় এ চক্রটি। যদিও বা কৌশলে সে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। শাহাব উদ্দীন ঈদগাঁও কালির ছড়া অফিসের মোরা এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে রামু থানা ও ঈদগাঁও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শাহাব উদ্দীনসহ আরো ৪/৫ যুবক কালির ছড়ার পূর্বে কলহাজি ঘোনা নামক এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ছড়ায় মাছ শিকার করতে যায়। এসময় প্রথমে ১২ জনের একটি অপহরণ চক্র অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শাহাব উদ্দীনসহ সকলকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। কিছুক্ষণ পর ১২ জনের আরো একটি গ্রুপ এসে সবাইকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় ৪ জন যুবক ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে পারলেও অপরজন শাহাব উদ্দীনকে ধরে নিয়ে যায়। সে কৌশলে পালিয়ে আসে বলে জানান এ প্রতিনিধিকে। পরে অপহরণ চক্রের একটি গ্রুপ ভাদিতলার পুর্বে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে অপর গ্রুপ রামু রশিদ নগর ধলির ছড়া এলাকায় গিয়ে ধান চাষাদের ধাওয়া দেন বলে জানায় স্থানীয় আবু ছিদ্দিক নামের এক কৃষক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনার বলেন ধাওয়া খেয়ে আসা কয়েকজন লোক বিষয়টি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে রামু থানা ও ঈদগাঁও পুলিশের এসআই শাহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পৃথক পুলিশ দল পাহাড়ে অভিযান চালায়।

জানতে চাইলে এস আই শাহাজ উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহরণকারীদের সম্ভব্য আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গহীন জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসীরা। অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় এ পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ফের বেপরোয়া হয়ে উঠায় পাহাড় ও আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দাদের মাঝে চরম আতংক ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।