পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে নির্যাতনকারী ভাসুর আব্দুল খালেকসহ ২ জনকে বিবাদী করে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা ঠান্ডাবর পাড়া এলাকার মৃত জহির আহমদের মেয়ে আরফা বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত আবুল শরীফের পুত্র সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ কাইছার উদ্দিনের সাথে ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক সামাজিক ভাবে বিয়ে সম্পূর্ন হয়। ৩ লক্ষ টাকা দেনমোহর মূলে এবং স্বামীকে নগদ এক লক্ষ টাকা ও আসবাবপত্র দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করে কনের পরিবার। বিয়ের দেড় বছর পর যৌতুকের জন্য যৌতুক লোভী স্বামী ও তার ভাসুর স্ত্রীকে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে ৬বছর ধরে গৃহবন্ধী রাখে। এমনকি তার স্বামীকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক না দিলে সে আরেকটি বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়।

আরফা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমি নাকি ঘর থেকে বের হলে ৩ তালাক এবং ছাদে উঠলে ২ তালাক দিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে। এসবকিছুর নায়ক ভাসুর আব্দুল খালেক। স্বামীর সরলতা এবং টাকার লোভে আমার স্বামীকে নানা ধরণের কথা বলে আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে হয়রানি শুরু করছে। বিয়ের পর আমার স্বামী সৌদি আরব গমন করে। সৌদি আরব থাকা অবস্থায় আমার ভাসুর আমার সরলতাকে পুজি করে নানা ধরণের কুকর্মের আশ্রয় নিয়ে আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে বাজে কথাবার্তা বলে আমাকে হাকাবকা শুরু করে। এমনকি ঘর থেকে বের করে দেবে বলেও হুমকি দেয়। আমার পরিবার অসহায় বলে তার দাবীকৃত যৌতুক দিতে না পারায় আমার ভাসুর খালেক সুকৌশলে কোনাখালী এলাকার এক মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করছে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমাকে ঘর থেকে জোর করে ধাক্কা দিয়ে কোন জিনিস পত্র ছাড়া মারধর করে বের করে দেয়। পরে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও তারা তা মানেনি। ঘরে আমার মূল্যবান স্বর্ণ, কাপড় আছে। সেগুলো আমার ভাসুর জব্দ করে রাখে সে ভোগ করার কুমানষে। তার পরও তারা ক্ষান্ত হয়নি উল্টো আমাকে ও আমার ৪ ভাইকে আসামী করে আমার পরিবারকে হয়রানি করার উদ্দ্যেশে চাঁদাদাবী ও বাউন্ডারী ভাঙ্গিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের মালামাল তচনচ করার অভিযোগ এনে গত ৭ নভেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আব্দুল খালেক বাদী হয়ে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং ১২১৭। ওই দিনই গভীর রাতে পেকুয়া থানার পুলিশ আমার তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পরই বিবাদীগণ আমার পিতার ঘরের দরজা ও বেড়া ভাংচুর চালিয়ে ঘরের মালামাল লুট করে। এতে পিতার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে পুলিশকে জানানো হলেও কোন কর্ণপাত না করে উল্টো আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার বাড়ীতে গেলেও গেইট খুলেনি এবং মোবাইলে কল দিলেও কথা বলেনি।

পেকুয়া থানার ওসি (প্রশাসন) জাকির হোসেন ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগি আরফা বেগমের লিখিত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহাবুবউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং সুষ্ট তদন্ত করার জন্য পেকুয়া থানার ওসি তদন্তকে নিদের্শ দিয়েছেন বলে জানান।