ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার শহরের ব্যস্ততম পানবাজার সড়কের দক্ষিণ মাথায় রাতের অন্ধকারে ‘রহস্যজনক’ ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে। এ কারণে এই সড়কের আশপাশের অন্তত ৫শ ব্যবসায়ীর ক্ষতি হচ্ছে। ব্যাঘাত ঘটছে যানবাহন চলাচলে। কোন কারণ ছাড়াই সড়কটি বন্ধ করে দেয়ায় প্রভাব পড়ছে এন্ডাররোডে। একটি সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় প্রভাব পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতে। ডক্টরস চেম্বারে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগিদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে করে ব্যবসায়ীরাসহ স্থানীয়রা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।প্রায় ১৫ দিন দিন আগে পানবাজার সড়কের দক্ষিণ মাথায় রাতের আধারে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়। লোহার এঙ্গেলযুক্ত শক্তিশালী ব্যারিকেট কে বা কারা স্থাপন করেছে সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
একটি সুত্র জানিয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যরিকেড বসানো হয়েছে। তবে, কি কারণে বসানো হয়েছে তা এখনো অজানা।
জানতে চাইলে পানবাজার সড়কস্থ কক্সকো মেডিকোর সত্ত্বাধিকারী ও শহর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পানবাজার সড়কে ব্যবসা করে আসছি। এভাবে রাতের অন্ধকারে চলাচলের রাস্তায় প্রতিরোধক স্থাপন করা উচিত হয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পথচারীরা।
তিনি বলেন, শহরের উপসড়কসমূহ খুবই সংকীর্ণ। যে কোন দুর্ঘটনার খবরে দ্রুত যানবাহন নিয়ে ছুটে যেতে পানবাজার সড়কের বিকল্প নাই।
মিজানুর রহমান মনে করেন, পানবাজার সড়কের আশপাশে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেনা। তাতে এলাকাবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের বিবেচনা করার আহবান জানান তিনি।
ফিরোজা শফিং ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যারিকেডের কারণে সব ব্যবসায়ীর ক্ষতি হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে পাশ্বর্তী এলাকাতেও।
এদিকে, রহস্যজনক এই ব্যারিকেড সরাতে সংশ্লিষ্টদের ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে পানবাজার সড়কের ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে আগামী রবিবার পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ বিষয়ে বুধবার (৭ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বাটা মার্কেট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সর্বসম্মতভাবে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।কক্সবাজার জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি, শহর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- ফিরোজা শফিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সমবায় সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা জিল্লুর রহমান কাজল, হকার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম-আহবায়ক মো. নাসির উদ্দিন সুমন, বাটা মার্কেটের ব্যবসায়ী হামিদুল আজম বকুল, হাসেম টাওয়ারের ব্যবসায়ী শাহজাহান, এ.আর সেন্টার পাদুকা সমিতির সহসভাপতি মো. সরওয়ার কামাল প্রমুখ।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন- ফিরোজা শফিং ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ভুট্টু, অর্থ সম্পাদক মো. খোকন, পাদুকা সমিতির সহসভাপতি সুনীল বড়ুয়া, খান মার্কেটের ডা. মোরশেদ আলম, ব্যবসায়ী নারায়ন শর্মা, মো. ইব্রাহিম, মাতু মিয়া প্রমুখ, ফিরোজা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সুফিয়ান প্রমুখ। আগামী সাতদিনের মধ্যে এই ব্যারিকেড সরিয়ে না নিলে ব্যবসায়ীরা নিজের উদ্যোগে ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।