প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে ফেরদৌস আক্তার (সুইটি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন প্রফেসর ড. আহমদ ইসমাইল মোস্তফা, ড. মোবারক আহমদ খান ও ড.পাপিয়া হক। তিনি “Performance of Gamma Irradiated Polysaccharides as Plant Growth Promoter” সন্দর্ভের উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

একাডেমিক পরিষদের (২৯-১০-২০১৮) সুপারিশ মোতাবেক সিন্ডিকেট সভার (৩১-১০-২০১৮) কার্যবিবরণী অনুযায়ী ফেরদৌস আক্তারসহ ২৩ জন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন: মুহাম্মাদ আল আমীন, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, খান ফেরদৌসর রহমান, শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, ফেরদৌস আক্তার, মোঃ তাবারক হোসেন ভূঁঞা, মেহজাবীন হক, মুর্শিদা বিনতে রহমান, শহীদ কাদের চৌধুরী, মুহাম্মদ ইব্রাহীম, মুহাম্মাদ বেলাল হোসাইন, গোলাম শফিউদ্দিন, মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, শাহানাজ পারভীন, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, লোপামুদ্রা মালেক, মোহাম্মদ কুদরত-ই-হুদা, মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সৈয়দ মুনতাসির মামুন, মোসলেহা পারভীন, শাহিনা আক্তার, মোঃ জিহাদ তরফদার ও মোঃ হারুনুর রশীদ ।

উল্লেখ্য ২০০২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগ থেকে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেছেন। TNSSIT এবং Boso Center Fellowship এর অধীনে ওই গবেষণার কাজ Indian Institute of Technology এর গধপৎড়-২০০২ Macro-2002 Young Student Award এ দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।

পিএইচডি গবেষণাকর্মটি বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের অধীনস্ত ইনষ্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার সায়েন্স এন্ড রেডিয়েশন টেকনোলজী এবং ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন এন্ড পলিমার টেকনোলজী গবেষণাগারে সম্পন্ন করা হয়। তাঁর গবেষণায় পরীক্ষামূলকভাবে প্লান্ট গোথ প্রমোটার প্রয়োগ করা হয় কক্সবাজার এবং ঢাকার বিভিন্ন কৃষি ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রবন্ধ আকারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ৩ জন প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর অধিনে তিনি এই গবেষণার কাজ করেন। এঁরা হলেন ড.পাপিয়া হক সহযোগী অধ্যাপক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক ড. মোবারক আহমদ খান, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, এবং সাবেক মহাপরিচালক আনবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভার এবং প্রফেসর ড. আহমদ ইসমাইল মোস্তফা হেড অব এনএফই, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সাবেক ডীন ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক অধ্যাপক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. ফেরদৌস আক্তার (সুইটি) বিগত ১৭ বছর যাবৎ গবেষণা কর্মের সাথে জড়িত আছেন। তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের “ওজোন সেল”-এ রিসার্চ অফিসার এবং “লোকাল কনসালটেন্ট” পদে ২০০৫-২০০৯ ইং পর্যন্ত পদে কর্মরত ছিলেন। বিগত ১৭ বছরের গবেষণা কর্মের উপর দেশী-বিদেশী বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য জার্নালে তার বেশ কয়েকটি প্রকাশনা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কসফারেন্সে তার প্রেজেন্টেশন রয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী। তিনি মরহুম ফার্মাসিষ্ট আব্দুল হালিম ও মরহুমা সৈয়দা রোকেয়া আক্তারের একমাত্র কন্যা। তিনি এক কন্যা সন্তান নোশিন ফেরদৌসীর মাতা। তাঁর ছোট ভাই জহির রায়হান একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের আইটি কনসালটেন্ট হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি বাংলাদেশ কেমিকেল সোসাইটি, এশিয়ান ফেডারেশন অব বায়োটেকনোলোজি, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এনভায়রণমেন্টাল সায়েন্টিস্ট ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির আজীবন সদস্য।

ফেরদৌস আক্তার সুইটির পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন দৈনিক বাঁকখালীর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দৈনিক বাঁকখালী পরিবার।