১) খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন : খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যমে ডায়াবেটিস শতকরা ৯০ ভাগ কমানো সম্ভব (যদি আক্রান্তের সময়কাল চার বছরের কম হয়)৷ জার্মান ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ প্রফেসার স্টেফান মার্টিন এ তথ্য জানিয়েছেন৷

২) নুডলসকে না বলুন : নুডলস বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের শর্করা রক্তে চিনির মাত্রা মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িয়ে দেয়, ফলে শরীরের কোষে ইনসুলিন হরমোন ছড়িয়ে পড়ে৷ তাই এ থেকে দূরে থাকাই ভাল।

৩) ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ : ২০০ ডায়াবেটিস রোগীর উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে মাত্র ৬০০ ক্যালরি প্রোটিনযুক্ত খাবার খান তারা ওষুধ ছাড়াই সুস্থ আছেন৷ তাছাড়া দীর্ঘ তিন মাস শর্করা জাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে শুধু প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলেও একই ফল পাওয়া যাবে৷

৪) প্রতিদিন বাদাম খাবেন : ডায়াবেটিস থেকে ভাল থাকতে চাইলে রোগীকে প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম, আখরোট খেতে হবে। কারণ, বাদামের ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিনের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫) খেতে হবে সবজি-সালাদ পাতা : এসব খাবারে ক্যালরি প্রায় নাই বললেই চলে৷ তবে এতে থাকা পানি পেট ভরায় এবং খুব ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে৷ সালাদের সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না৷ তাই প্রচুর সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা৷

৬) প্রতিদিন স্ট্রবেরি-আপেল খাবেন: অন্যান্য ফলের তুলনায় স্ট্রবেরি ও আপেলে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। কাজেই ওজন কমাতে এবং ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ ধরনের ফল প্রতিদিনই খাওয়া উচিৎ৷

৭) বাইরের কেনা খাবারকে না : ডায়াবেটিস রোগীরা বাইরের কেনা খাবার একেবারেই খাবেন না। তাদের এক প্লেট খাবারের অর্ধেকটাই হতে হবে সালাদ বা সবজি৷ আর বাকি অর্ধেকের চার ভাগের তিন ভাগ প্রোটিনযুক্ত খাবার, আর এক ভাগ শর্করা জাতীয় খাবার৷