মুহাম্মদ হোসাইন:


কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পিপি জোনের মুচরা উঠনি বাজার থেকে এক রোহিঙ্গার কাছ থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার বাংলাদেশী জাল টাকা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প ২ এর ডি ৫ এলাকার পিপি জোনে জাল টাকা তৈরির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সংবাদ পেয়ে ৩/৪ নং ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ শামীমুল হক পাভেলের নেতৃত্বে সিপিপি সদস্য ইউসুফ নুর ও আরিফুর রহমানসহ ১৫ জন ভোলান্টিয়ার মিলে তাদেরকে আটক করার জন্য অভিযান চালায় এতে জাল টাকা তৈরির হোতা রোহিঙ্গা আমিনকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তার সাথে থাকা বাংলাদেশী একহাজার টাকা নোটের ৩ লাখ ৮৬ হাজার জাল টাকা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পর ২ এর ডি ৫ ব্লকের মৃত খলিল আহমদের পুত্র এবং সেখানকার মাঝি কালু ও হেড মাঝি ফরিদ বলে জানা যায়।

এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে তার সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও সে পালানোর সুযোগ পাইনি বলে জানান স্থানীয় রোহিঙ্গারা।

ক্যাম্পে কর্মরত গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) সদস্য কায়সার আহমদ বলেন, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এবার খোদ বাংলাদেশী নোটের জাল করার কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, এই চক্রটির সাথে স্থানীয় লোকজনের সংযোগ রয়েছে। এমনকি তাদের নিকট জাল টাকা তৈরির মেশিন আছে বলেও জানা গেছে।

যোগাযোগ করা হলে ৩/৪ নং ক্যম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ শামীমুল হক পাভেল বলেন, আমরা ২৯ অক্টোবর সকাল থেকে এই সিন্ডিকেটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করে পরিশেষে বিকাল ৪ টায় রোহিঙ্গা আমিন ও তার সাথে থাকা ৩ লাখ ৮৬ হাজার বাংলাদেশী (একহাজার টাকা) নোটের জাল টাকা এবং একটি চাকু উদ্ধার করতে পারি।
পরে তাকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা আমিন আমাদের স্বীকারোক্তি দেন যে, পালংখালীর ফরিদ মেম্বার নামের একজনের সহযোগিতায় সে এই নকল টাকা ক্যাম্পে সর্বত্রে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে লোকজনের তথ্যমতে এই সিন্ডিকেটের ক্যাম্পের ভেতরেই রয়েছে জাল টাকা তৈরির মেশিন। তবে আমাদের সবদিকে নজরদারি রয়েছে এই সিন্ডিকেটের মূলহোতাদের সনাক্ত করার জন্য।

উখিয়া থানা পুলিশের ইনচার্জ আবুল খায়ের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্যাম্প থেকে জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা রুজু ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।