মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :


বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার ৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গত ২১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রাথর্না করলে বিচারক জামিন নামন্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে একই মামলায় হাইকোর্টে অন্তর্বতীকালীন জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন চলাকালে আমীর খসরুর মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক ছাত্রদলের কর্মীর কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এতে আমীর খসরুর কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, তিনি ওই কর্মীকে বলছেন, ঢাকায় এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে। ওইদিনই ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে হামলা হয়।

মামলার বাদী ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া দস্তগীর দাবি করেন, আমীর খসরুর উস্কানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার কথার জেরেই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়।

এরপর গত ৪ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।