সিবিএন ডেস্ক:

‘পা ফুলে গেছে। ডাক্তার হাঁটতে বলেছে। কিন্তু হাঁটতে পারি না। কেবিনের গেট খুললেই লোকজন এসে সেলফি তোলে। ডাক্তাররাও সেলফি তোলে। শুধু সেলফি আর সেলফি। সেলফিতে বিরক্ত হয়ে গেলাম।’

রোববার (৪ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাগো নিউজের কাছে এমনটাই বলছিলেন অতিরিক্ত দৈহিক উচ্চতায় আক্রান্ত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ জিন্নাত আলী।

তিনি বর্তমানে বিএসএমএমইউর ৪০৪ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে জিন্নাত জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাড়িতে (কক্সবাজার) থাকতে পা ফুলে গিয়েছিল। বিএসএমএমইউতে ১২ দিন ধরে ভর্তি আছি। এখানে আসার পর এখন অনেকটা কমেছে। পা ফোলা ছাড়া আর কোনো সমস্যা বোধ করছি না।’

zin

হাসপাতালে খাওয়ার মেন্যুতে কি থাকে জানতে চাইলে জিন্নাত বলেন, ‘সকালে পাউরুটি ১২টা কলা আর চারটা ডিম দেয়। দুপুরে ভাত চার পিস মাংস অথবা চার পিস মাছ। বিকেলে ভাত মাংস। রাতেও ভাত আর চার পিস মাছ বা মাংস দেয়া হয়।

তবে হাসপাতালের খাবারে অসন্তুষ্ট জিন্নাত বলেন, তিন বেলা ভাত খাই কিন্তু মজা পাই না। বাড়িতে আতপ চালের ভাত খেতাম, এখানকার চাল মজা লাগে না।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ আরও কয়েকটি প্রশ্ন করা হয় তাকে। তিনি চিকিৎসক ও ঢাকায় আনা স্থানীয় এমপির অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে রাজি হননি। কেউ ছবি তুললেই বিরক্ত হচ্ছেন তিনি।

অসুস্থ জিন্নাতের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জিন্নাত আলীর বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া বড়বিল গ্রামে। বৃদ্ধ বাবা আমীর হামজার এক মেয়ে, তিন ছেলের মধ্যে জিন্নাত তৃতীয়। জিন্নাতের বয়স যখন ১২ বছর, তখন থেকেই দ্রুত উচ্চতা বাড়তে থাকে। প্রতি বছর দুই থেকে তিন ইঞ্চি করে আকৃতি বাড়তে থাকে। এভাবে ১০ বছরের মধ্যে প্রায় চার ফুট উচ্চতা বেড়ে জিন্নাত এখন ৮ ফুট ৬ ইঞ্চির এক মানব।