হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (বহিস্কৃত) তোফাইল আহমদ ও উপজেলা জামায়াতের আমির রফিক আহমদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে শনিবার (৩ নভেম্বর) এই মামলাটি রুজু করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল আবছার, জামায়াত নেতা ওমর ফারুক ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সদস্য- দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি মাহমুদুল হক বাহাদুর। মামলায় আরও ২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.জাফর ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার সমস্ত সরকারী কার্যালয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ও সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে- আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হয়েছে।

এদিকে মামলাটিকে ‘গায়েবি’ বলে দাবি করেছেন মামলার আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা। মামলার আসামি মাহমুদুল হক বাহাদুর জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘ ছয় বছর ধরে একটি মেডিসিন কোম্পানিতে চাকুরি করছেন। পাশাপাশি জাতীয় দৈনিক সংগ্রামের নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত। আবার নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবেরও সদস্য। তিনি ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবে ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেন মাহমুদুল হক বাহাদুর। তিনি বলেছেন সরকারবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগটিও সত্য নয়।

এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (বহিস্কৃত) তোফাইল আহমদ মুঠোফোনে দাবি করে বলেন, ‘মামলাটি অবশ্যই ‘গায়েবি’। কারণ আমি এক বছর ধরে উপজেলার বাইরে অবস্থান করছি। শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণেই আমি এই মামলায় আসামি হয়েছি।’