রফিক মাহমুদ,উখিয়া :
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে আসমা আক্তার(১৬)নামে এক কিশোরীকে। নিহত অাসমা পুরাতন রোহিঙ্গা মোহমদ শরিফ উদ্দিনের মেয়ে। তারা বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

এঘটনায় গৃহকত্রী হাসিনা আক্তার (৩৫) মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ঘটনাটি রহস্যজনক বলছেন আশপাশের লোকজন।

জানা যায়, সৌদি প্রবাসী সৈয়দ আলমের বাড়িতে বসবাস করতো তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার ও পালিত কন্যা আসমা আক্তার। শুক্রবার রাতে কে বা কারা বাড়িতে ঢুকে দুই জনকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

এসময় গোঙ্গানীর মতো শব্দ পেয়ে তাদের আত্মীয় শামসুর স্ত্রী শাহিনা আক্তার চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে এসে দুইজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী গয়ালমারা এলাকায় এনজিও পরিচালিত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসমা আক্তারকে মৃত ঘোষনা করেন।

মুমুর্ষ অবস্থায় হাসিনা আক্তার সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। উদ্ধারকারী আত্মীয়স্বজন জানান দুইজনকে এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সৈয়দ আলম ও হাসিনা আক্তারের এক সন্তান রয়েছে সে কক্সবাজারে একটি আবাসিক মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল নাহিদ আদনান তাহিয়ান, টেকনাফ থানার পরিদর্শক অপারেশন শরীফুল হক, হোয়াইক্যং ফাঁড়ীর আইসি সুব্রত রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। হোয়াইক্যং ফাঁড়ীর আইসি কিশোরী আসমার নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মুমুর্ষ হাসিনা আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।