ডেস্ক নিউজ:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা তিন ঘণ্টা ওখানে (গণভবন) ছিলাম। আমাদের সঙ্গে যে নেতৃবৃন্দ গিয়েছিলেন তারা সকলে আমাদের অভিযোগগুলো নিজের মতো তুলে ধরেছেন। সরকারের ব্যাপারে যে তারা উদ্বিগ্ন সেগুলো তুলে ধরেছেন। সবার কথা শোনার পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেশ লম্বা বক্তৃতা দিলেন। তবে ওখানে কোনো বিশেষ সমাধান আমরা পাইনি।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংলাপ শেষে বেইলি রোডের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, সভা-সমাবেশের ব্যাপারে একটা ভালো কথা বলেছেন। আমরা আমাদের কথাগুলো বলে এসেছি উনি জানতে পেরেছেন। উনি উনার কথাগুলো বলেছেন আমরা শুনে এসেছি।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজকে যে আলোচনা, আমরা মনে করি এটা দীর্ঘসময় ধরে হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। শুরুতেই ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা তিনি একটি সূচনা বক্তব্য রেখেছেন। এরপর আমাদের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। প্রতিনিধিদলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অন্যান্য নেতা ও আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ঢাকাসহ সারা দেশে সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর কোনো বাধা থাকবে না। রাজনৈতিক দলসমূহ যে যেখানে সভা করতে চাইবে তাদের কোনো বাধা দেবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা যে গণগ্রেফতার হচ্ছেন বা গায়েবি মামলা হচ্ছে এগুলো আমরা তুলে ধরেছি। তিনি বলেছেন- মামলাগুলোর আপনারা তালিকা দেন আমরা অবশ্যই সেগুলো বিবেচনা করব এবং যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেও আমরা বিবেচনা করব। উত্থাপিত দাবি-দাওয়া নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।