প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

ইউএন উইমেন গত বুধবার ৩১ অক্টোবর ২০১৮ রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য নির্মিত দ্বিতীয় বহুমুখী সেবাকেেন্দ্রের উদ্বোধন করেছে। এই বহুমূখী সেবাকেন্দ্র ক্যাম্প ৪ এর ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) এর পরামর্শে এবং অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং সুইডেনের ইউএন উইমেনের জাতীয় কমিটিসমূহ এবং সুইডেন সরকারের অর্থায়নে এটি নির্মিত হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কারিগরি সহায়তায় ও একশনএইড বাংলাদেশ এবং ইয়ুথ পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা) এর যৌথ অংশিদারিত্বে ইউএন উইমেন এই কেন্দ্রটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মি: আবুল কালাম (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার) বলেছেন, ” ইউএন ইউমেন তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে স্বকীয়তা প্রমাণ করেছে। ইউএন ইউমেনের সকল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমি তাঁদের অঙ্গীকার এবং নিষ্ঠা দেখতে পাই। ইউএন ইউমেন রোহিঙ্গা নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে এ্যাডভোকেসী করে চলেছে।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতাসহ নেতৃত্ব বিকাশ প্রশিক্ষণ, জীবিকা ও জীবনভিত্তিক কর্মসূচীর যাবতীয় তথ্যসহ সকল তথ্য জানতে এই কেন্দ্রটি ‘ওয়ান স্টপ হাব’ হিসেবে কাজ করবে। এর পাশাপাশি নারীদের স্বাস্থ্য নির্দেশনা এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনায় সহায়তার বিষয়ে সহযোগিতা করবে এই কেন্দ্র। দুর্যোগকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হবে।

নারী এবং কিশোরীদের ক্ষমতায়নের জন্য ইউএন ইউমেন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। বালুখালির ক্যাম্প ১৮ তে অবস্থিত একই ধরনের একটি বহুমুখী সেবাকেন্দ্র থেকে দেওয়া নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি নারী ও কিশোরী সুবিধা পেয়েছেন।

“আমি ইউএন ইউমেন থেকে প্রশিক্ষন পেয়েছি, এবং আমি এখন আমার পরিবারকে সাহায্য করতে পারি। পরিবারে আমার মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এখন অন্য নারী, বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের এই সেবাকেন্দ্রে আসার জন্য উৎসাহিত করি। এখানে তোমরা অনেক বন্ধু পাবে, যাদের কাছে তোমার দুঃখ , বেদনার কথা বলতে পারবে। যারা তোমাকে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে”-বলেছেন হাসিনা খাতুন, রোহিঙ্গা নারী নেত্রী।

“আমি আশা করি এই কেন্দ্রটি ক্রমান্বয়ে রোহিঙ্গা নারীদের দ্বারাই পরিচালিত হবে। এটা তাঁদের জায়গা, ফলে এই কেন্দ্রটি তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারীরা তাঁদের নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাবে। আমি এই কেন্দ্রটিকে বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার সেবা প্রদানের একটি একীভূত কেন্দ্র হিসাবে দেখতে চাই। এই কেন্দ্রে বিভিন্ন সংস্থা তাদের নিজস্ব দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং তথ্যমূলক অধিবেশন পরিচালনা করবে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য। -বলেছেন মিজ শোকো ইসিকাওয়া, (বাংলোদেশ প্রতিনিধি, ইউএন ইউমেন)।

এটি বৃহত্তর পরিসরে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন: রান্না প্রশিক্ষন সুবিধা এবং সভা করার জন্য নিরাপদ ও ক্ষমতায়নের উপযোগী পরিবেশে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে। “ইউএন ইউমেন-এর এই উদ্যোগ এবং কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করা, নারী অধিকার, জেন্ডার সমতা এবং নারীর অংশগ্রহণের প্রতি সুইডিশ সরকারের জোড়ালো সমর্থন এবং অঙ্গীকারের একটি উদাহরণ” -বলেছেন মিজ মারছেলা লিজানা বোবাদিল্লা, ফাষ্ট সেক্রেটারী, সুইডিশ দূতাবাস।