ডেস্ক নিউজ:

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত এলাকা ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা তাদের এক লাখ করে টাকা দিচ্ছি। তারা নিজ নিজ গ্রামে কাজ করে খেতে পারবে। পরিবার পরিজন নিয়ে বসবার করতে পারবে। পুলিশ ও র‍্যাব তাদের সহযোগিতা করছে। দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধান হলো।’

দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী র‍্যাব, পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৬টি দস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আজ সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো। সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। আয়োজনে বাগেরহাট প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিসহ র‌্যাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুদের প্রত্যেকের হাতে ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক দেওয়া হয়।

র‌্যাবের তৎপরতায় ২০১৫ সালের ৩১ মে প্রথম মোংলা বন্দরের ফুয়েল জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে ৯ সহযোগীসহ ‘মাস্টার বাহিনীর’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার আত্মসমর্পণ করে। এরপর পর্যায়ক্রমে মানজার বাহিনী প্রধান মানজার সরদার, মজিদ বাহিনী প্রধান তাকবির বাগচী মজিদ, বড় ভাই বাহিনী প্রধান আবদুল ওয়াহেদ মোল্লা, ভাই ভাই বাহিনী প্রধান মো. ফারুক মোড়ল, সুমন বাহিনী প্রধান জামাল শরিফ সুমন, দাদা ভাই বাহিনী প্রধান রাজন, হান্নান বাহিনী প্রধান হান্নান, আমির বাহিনী প্রধান আমির আলী, মুন্না বাহিনী প্রধান মুন্না, ছোট শামছু বাহিনী প্রধান শামছুর রহমান, মানজু বাহিনী প্রধান মো: মানজু সরদার ও সূর্য্য বাহিনী প্রধান সূর্য্যসহ ২৯টি বনদস্যু বাহিনীর ২৭৪ সদস্য ৪০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।