মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে অাওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের কারা মুক্তি উপলক্ষে অায়োজিত সংবর্ধনা সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ করে তোরণ, ষ্টেইজ ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর, তছনছ করার অভিযোগ করছেন মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ। এছাড়া সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও আচাড় মেরে ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  ঘটনাটি ঘটেছে ৩১ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১২টায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, গত ১৫ আগস্ট মাতারবাড়ী ইউনিয়নের হংসমিয়াজীর পাড়ার ফরিদুল আলমের পুত্র জিয়াবুল হককে বাংলা বাজারের দক্ষিণে দিন দুপুরে চিংড়ি প্রজেক্টের বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কুঁপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে রহস্যজনক ভাবে ১নং আসামী করে নিহতরে স্ত্রী ময়না মুক্তা নয়ন বাদী হয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় চেয়ারম্যান  ১ মাস কারাভোগের পর গত ২৯ অক্টোবর জেল থেকে মুক্তি পান। উক্ত চেয়ারম্যানকে মাতারবাড়ীবাসী বরণ করে নিতে গতকাল ৩১ অক্টোবর, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শুভাঙ্খাকীরা সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন।

অায়োজকরা অভিযোগ করেন, দুপুর  ১২ টায় ৫/৬ জন সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আকষ্মিকভাবে মগডেইল বাজারে এলোপাতাড়ী ফাঁকা গুলি বর্ষণ করলে উপস্থিত লোকজন দিক-বিদিক পালিয়ে যায়। এই সময় হুড়াহুড়িতে ১০/১২ জন নারী পুরুষ আহত হয়। ভাংচুর চালানোর সময় ফরিদা ইয়াছমিন (১৬) নামের চেয়ারম্যানের একজন সমর্থক বাঁধা দিতে গেলে  সন্ত্রাসীরা ওই মহিলাকে মারধর করে গুরুত্বর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে লোকজন পালিয়ে যাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা সংবর্ধনার জন্য নির্মিত স্টেজ, তোরণ ও চেয়াম্যানের ব্যক্তিগত অফিসের সকল আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় বলে অভিযোগে দাবী করা হয়। এসময় অফিসে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাংচুরের অভিযোগ করেন অাঃলীগ নেতারা। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সংঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি একেএম শফিকূল অালম চৌধুরী আরো ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এনিয়ে পুরো মাতারবাড়ীতে চলছে টান টান উত্তেজনা।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বলেন, শান্তিপূর্ণ এলাকায় যদি কেউ আইনশৃংখলার অবনতি ঘটায় তা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আর এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।