রামু প্রতিনিধি:

রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত জনপদ বোমাংখিল গ্রামে বেসরকারি সংস্থা হোপ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ডেলিভারী সেন্টারে নবজাতকের প্রথম সফল ও স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে। এরমাধ্যমে আশপাশে কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘদিনের কাংখিত স্বপ্ন পূরন হলো। সম্প্রতি হোপ ডেলিভারী সেন্টারে প্রথম সন্তান প্রসব করেন, গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াংগেরকাটা গ্রামের হুমায়ন কবিরের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা।

প্রসব হওয়া নবজাতকের নানা জাহাঙ্গীর আলম সিকদার পাশর্^বর্তী কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি জানান, ইতিপূর্বে রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, পার্বত্য বান্দরবানের বাইশারী ও দোছড়ি ইউনিয়নের নারীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো। এখন এ ডেলিভারী সেন্টার চালু হওয়ায় এখানকার গর্ভবর্তী নারীরা প্রসবকালীন উন্নত চিকিৎসা সেবা ও নিরাপদ প্রসব এর সুবিধা ভোগ করবে।

সমাজসেবক সাইফুল্লাহ চৌধুরী লেবু জানিয়েছেন, তাঁর মা সাবেক ইউপি সদস্যা মরহুমা আলহাজ্ব নুর নাহার চৌধুরী গ্রামের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রসবকালীন স্বাস্থ্য সেবা ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য এখানে একটি ডেভিভারী সেন্টার চালুর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। এখন হোপ ডেলিভারী সেন্টার চালু ও নিরাপদ প্রসব সম্পন্ন করার মাধ্যমে মায়ের এ স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি এ ডেলিভারী সেন্টার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি প্রথম স্বাভাবিক নিরাপদ প্রসব সম্পন্ন করায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ধন্যবাদ জানান।

গর্জনিয়া হোপ ডেলিভারী সেন্টারের ইনচার্জ আয়েশা খানম জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি চালুু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন দূর-দূরান্তের নারীরা গর্ভকালীন চিকিৎসা সেবার (চেকাপ) জন্য এ সেন্টারে ছুটে আসছেন। ২৪ ঘণ্টা (দিবা-রাত) এ ডেলিভারী সেণ্টার খোলা থাকে। দিনদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একারনে সেবার মানও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সমাজসেবক সাইফুল্লাহ চৌধুরী লেবু’র প্রচেষ্টায় গর্জনিয়ার জমিদার আলহাজ্ব হাকিম মিয়া চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত গর্জনিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩মাস পূর্বে এ ডেলিভারী সেন্টার চালু করা হয়।