ডেস্ক নিউজ:

>> ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ >> প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বি. চৌধুরীর সংলাপ ২ নভেম্বর
>> ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্যের দলের নেতৃত্বে থাকছেন ড. কামাল >> সংলাপ অর্থবহ না হলে বিপদ আরও বাড়বে : সাখাওয়াত হোসেন >> ইতিবাচক সাড়া পাব, এই আশা রাখি : ড. কামাল >> সরকার চাইলে একদিনেই সংকট নিরসন : মুজাহিদুল ইসলাম >> আলোচনার টেবিলেই সিদ্ধান্ত হবে : ওবায়দুল কাদের

সপ্তাহখানেক আগেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংলাপের বিষয় উড়িয়ে দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যুদ্ধাংদেহী দুই রাজনৈতিক জোটের বিরোধী অবস্থানে গণতন্ত্রের যাত্রা চ্যালেঞ্জে পড়েছে বার বার। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ফের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। নির্বাচনী আলোচনা সর্বত্রই। এমন আলোচনার কেন্দ্রে নানারকম শঙ্কা আর অনিশ্চয়তাও গুরুত্ব পাচ্ছে।

নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও এখনও অধরা রাজনৈতিক সমঝোতা। কী হবে নির্বাচনে, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, না-কি আরেকটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, শেখ হাসিনার অধীনে নাকি ভিন্ন ধারার সরকারের অধীনে নির্বাচন, কী হবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার, নির্বাচনে জামায়াত ইস্যু কতটুকু গুরুত্ব পাবে- এমন সব প্রশ্নই জনমনে। এসব প্রশ্ন ঘিরে রাজনীতি ‘জট’ এবং ‘সংলাপ’ আলোচনা।

সামরিক জান্তা এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে নব্বইয়ের দশকে সংসদীয় গণতন্ত্রের যে পথ তৈরি হয়েছিল, তা আজ কঠিন বরফে আচ্ছন্ন। যে যাত্রায় গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হওয়ার কথা, সে পথ আজ বড়ই অমসৃণ।

তবে, রাজনীতির অশনিসংকেত ঘিরে থাকা জাতি আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে ‘সংলাপ’ আলোচনাতে। ক্ষমতাসীন দলের অনীহা থাকলেও আলোচনার আবেদন উঠেছে সর্বমহল থেকে। দীর্ঘদিন ধরে সরকার আর বিরোধী জোটের বৈঠকের তাগিদ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহলও। অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সংলাপ। যে দুর্গে দরজা বন্ধ ছিল, সেই দুর্গ থেকেই ডাক এসেছে বৈঠকে বসার। অবশেষে ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

‘সংলাপ’র পাশাপাশি আলোচনা হচ্ছে এখন এর ফলাফল নিয়েও। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা রাজনীতির ‘বরফ’ সংলাপের মাধ্যমে কী গলবে, না-কি জট আরও বাঁধবে? আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে কী হতে পারে আগামীর নির্বাচনে- এমন প্রশ্নও এখন জনমনে।

সংলাপ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সংলাপ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার আপাতত কোনো কারণ নেই। কারণ, আমরা আগেও এমন সংলাপ দেখেছি। অর্থবহ আলোচনা হয়েছে- এমন নজির আছে বলে আমার জানা নেই। এমনকি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও সংলাপের আলোচনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়।

এই বিশ্লেষক বলেন, সংলাপ ফলপ্রসূ হবে কি-না তা নির্ভর করবে অংশগ্রহণকরীদের আন্তরিকতার ওপর। যেসব এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার অনেক কিছুই সাংবিধানিক। সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপার আছে। আবার অনেক বিষয় আছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জড়িত।

‘হঠাৎ সংলাপ প্রসঙ্গে সরকারের ইউটার্ন’- এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আরও অপেক্ষা করতে হবে। কী হবে, তা আলোচনা থেকেই বেরিয়ে আসবে। বৈশ্বিক রাজনীতি পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশে নির্বাচন হয়েছে, তেমন প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বমহলে প্রশ্ন আছে। ধারণা করা যেতেই পারে, সরকার সংলাপের জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকেও অবগত হচ্ছেন।

এবার সংলাপ অর্থবহ না হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন সাখাওয়াত হোসেন।

তবে সংলাপের ব্যাপারে আশাবাদী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক। কিন্তু রাজনীতির মধ্য দিয়েই জনগণকে ক্ষমতাবঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। আমরা জনগণের রাষ্ট্র জনগণকে ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আমাদের দাবি আর লক্ষ্য ঘোষণা করেছি। সময় বদলে গেছে। মানুষ এখন হিংসার রাজনীতি করতে চায় না। এই উপলব্ধি থেকে ক্ষমতাসীন দল সংলাপে ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে আমি মনে করি।

একই প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজনীতির নামে রাষ্ট্র, সমাজে যে দুঃশাসন চলছে, তা থেকে মুক্তি পেতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। সংলাপ সময়ের দাবি। আমরা দীর্ঘদিন থেকেই সংলাপের দাবি জানিয়ে আসছি। মানুষের মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্যের কথা আমরাও বলে আসছি। সরকার কর্ণপাত করেনি। ১ নভেম্বর কী আলোচনা হয়, তা দেখার অপেক্ষা।

সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, রুটি ভাগাভাগির জন্যও সংলাপ হতে পারে। আমরা ইতোপূর্বে বহু সংলাপ, আলোচনা দেখেছি। তাতে গণমানুষের লাভ হয়নি। বরং বৈষম্য বেড়েছে। সংলাপের স্বার্থকতা নির্ভর করে মূলত ক্ষমতাসীনদের আন্তরিকতার ওপর। সরকার চাইলে একদিনের মধ্যেই চলমান সংকট নিরসন করতে পারে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একদিন আগেও কেউ এটা ভাবেননি। আগে আমিও বলেছি সংলাপ হবে না। সেটা ছিল আমার রাজনৈতিক কৌশল। এখন সংলাপ হচ্ছে। এখন দেখা যাক সংলাপে ‘সংকটের বরফ’ গলে কি-না! যদিও আমরা সংকট দেখছি না। সংকট তাদের (বিএনপি)। তাদের ভাষায় সংকট।

তিনি আরও বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারি দলের সংলাপে খোলামেলা আলোচনা হবে। ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য আলোচনার টেবিলে তোলা হবে। আলোচনার টেবিলেই সিদ্ধান্ত হবে।

ঐক্যফ্রন্টের কিছু দাবি সংবিধান সম্মত নয়, সে ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (ঐক্যফ্রন্ট) তাদের দাবিতে অটল থাকবে, না সরে আসবে; দেখেন না কী হয়!’

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সংলাপের আয়োজনের বিষয়টি ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ এবং ‘অসাধারণ অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রায় চার বছর বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন শেষে মঙ্গলবার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়টি কোনো একজন রাজনৈতিক নেতা বা কোনো একটি দলের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ নয়।

তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি কেবল দলের উচ্চপর্যায়ের ভেতরে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয় নয়, বরং দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সারাদেশে জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাতে ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে তার দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে’ বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্নিকাটের সর্বাঙ্গীণ সাফল্যও কামনা করেন।

কোনো বৈদেশিক চাপে সংলাপ হচ্ছে না। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকায় জেলা রেজিস্ট্রার নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছেন। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য সংবিধানসম্মত যে কোনো আলোচনার ব্যাপারে তার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। এতেই বোঝা যায় কোনো বৈদেশিক চাপে সংলাপ হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মমর্যাদাশীল একজন ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশকে তিনি একটি মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। তিনি কোনো বিদেশি চাপে নত হওয়ার মতো মানুষ নন। তারপরও আমি বলব, বিদেশি কোনো চাপ ছিল না। বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে চলছে। সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাংলাদেশে এ সরকার কোনো কিছুই করেনি এবং সংবিধানের ধারাবাহিকতা সংবিধানসম্মত যে কাজ আমরা সেই কাজ করে যাবো।’

প্রসঙ্গত, সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত রোববার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠায়। পরদিনই সংলাপে রাজি হওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের।

মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন কামাল হোসেনকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে শেখ হাসিনা লেখেন, ‘অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধানসম্মত সকল বিষয়ে আলোচনার জন্য আমার দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত।’

আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর বিকেলে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ, মওদুদ আহমদ, জেএসডির তানিয়া রব, মালেক রতন, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহেদ উর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমীন, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৈঠকের পর জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব নিজেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘মুখপাত্র’ পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছি। আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে যাব। ঐক্যফ্রন্টের ১৫ নেতা যাবেন। কামাল হোসেন আমাদের নেতা, উনি ১৫ জনের বাইরে।

তিনি আরও জানান, সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ৭ দফার ভিত্তিতে আলোচনা হবে। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আলোচনা হবে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে- এটা নিয়ে আলোচনা হবে।

সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের যারা থাকছেন

গণভবনের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের দলনেতা হিসেবে থাকবেন ড. কামাল হোসেন। বিএনপি থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। নাগরিক ঐক্য থেকে থাকবেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম। গণফোরাম থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। জেএসডি থেকে আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন ও তানিয়া রব। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্তফা আমিন ও স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বি. চৌধুরীর সংলাপ ২ নভেম্বর

ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংলাপে ডাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বৈঠকের আমন্ত্রণ চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিকল্প ধারার সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিকল্প ধারার একটি প্রতিনিধি দল বি. চৌধুরীর চিঠি ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

এর প্রেক্ষিতে বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকেও সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাতেই বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসভবনে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

আগামী ২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।