মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :


রামু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেরাজ আহমদ চৌধুরী মাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবদুল্লাহ আল মামুন, আবুল বাশার বাবুসহ ১৬ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী রামু থানায় ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রামু বাইপাস সড়কে যানবাহন ও জণসাধারণের ক্ষতিসাধন করে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করার অভিযোগ এনে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় রামু থানায় ২৪৩/২০১৮ নং মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন,  ফরিদুল আলম, শাহেদুজ্জান বাহাদুর, ফরিদুল আলম, কামাল উদ্দিন মেম্বার, ফয়েজ উদ্দিন রাশেদ, মানোয়ার আলম, শাজাহান লুতুসহ রামু উপজেলা বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের ১৬ জন নেতা নেতা কর্মীদের আসামী এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় রামু-কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ এই মিথ্যা, বানোয়াট ও হাস্যকর মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়ে বলেন, অবৈধ সরকারের আয়ু শেষ হয়ে যাওয়ায় আবারো ক্ষমতায় আসার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে।

নেতৃবৃন্দের পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলের একান্ত সহকারী দেলোয়ার হোসেন প্রদত্ত প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করার জন্য সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশের সর্বত্র বিএনপি’র নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী ও ভূতড়ে মামলা দায়ের করছে। তারই ধারবাহিকতা সোমবার কক্সবাজার মডেল থানায় এবং মঙ্গলবার রামু থানায় বিএনপি’র নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে পর পর দুটি বায়বীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাতে কোন প্রতিদ্বন্ধিতা ছাড়াই একতরফা তথাকথিত নির্বাচন করে আবারো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যেতে পারে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ভবিষ্যতে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হওয়া ছাড়া অন্য কোন ধরনের নির্বাচন এদেশে বিএনপি কোন অবস্থাতেই হতে দেবেনা।