টেকনাফ সংবাদদাতা:
কোন মাদক কারবারী ছাড় পাবেনা বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত র্শীষ ইয়াবা কাবারীদের কোন ছাড় নেই। তাদেরকে কোনো অবস্থাতাই ছাড় দেওয়া হবে না। ইয়াবার কারনে এদেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। র্শীষ মাদক কারবারীদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মুত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন পাস করা হয়েছে। সে ঘোষনা অনুযায়ী ইয়াবা নির্মূল করতে গিয়ে যা যা করার দরকার তাই হবে।

ওসি বলেন, বড় গডফাদার কে সেটা কোনো প্রশ্ন নই, উত্তর আসবে ইয়াবার ব্যবসায়ী হিসেবে। জড়িতরা জনপ্রতিনিধি হলেও কোনো ছাড় পাবে না। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বাধা আসলে পুলিশ সরকারী স¤পত্তি রক্ষার্থেই প্রয়োজনে গুলি করবেই।

তিনি বলেন, মাদক কারবারী ও সেবনকারীদের ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কোনো ব্যাক্তি আতঙ্কে থাকার কথাও নয়। হয় তো পুলিশ থাকবে নতুবা মাদক কারবারীরা এদেশে ছেড়ে পালাবে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কেহ রেহায় পাবে না। টেকনাফের দূর্ণাম মুছতে যা দরকার তা করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইচ-চেয়ারম্যান মৌঃ রফিক উদ্দীন, তাহেরা আক্তার মিলি, পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সোন আলী, আওয়ামীলীগ নেতা জহির হোসেন এমএ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের টেকনাফ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন, হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মৌঃ আজিজ উদ্দিন, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচ, কে আনোয়ার, সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজান মিয়া, ২ বিজিবির কো¤পানী কমান্ডার ছৈয়দ মোঃ ইব্রাহীম হোসেন প্রমুখ। এতে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করায় নবাগত ওসি প্রদীপ কুমারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযান আরো জোরদার ও বেগবান করার তাগিদ দেওয়া হয়। তবে নিরীহ মানুষ যেন হয়রানী শিকার না হয় তা দৃষ্টি রাখতে বলেন। তবে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরন ও অপরাধ নিয়ন্ত্রনে আইন শৃংখলা বাহিনীকে আরো শক্ত ভুমিকা রাখতে হবে। এদিকে হ্নীলার পাহাড়ী এলাকায় মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানা গড়ে উঠেছে। এ সব আস্তানায় আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য আহবান জানিয়েছেন।