শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, সদর:

সিসি ক্যামেরায় বসানোর এক বছর পরও কোন চোর শনাক্ত কিংবা ধরতে পারেনি পুলিশ এবং ব্যবসায়ীরা।প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে সদরের ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে। বাজারের এ সব প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটলে বিভিন্ন অলিগলি ও গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় ১৮টি সিসি ক্যামরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেন সদর রামু আসনের সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। এসব সিসি ক্যামরা বসানোর পরও চুরি হচ্ছে নিয়মিত।ব্যবসায়ীরা জানায়, চোরদের মুখমন্ডল ও পোশাক পরিচ্ছেদ অস্পষ্ট ভাবে দেখা যাওয়ায় চিহ্নিত করতে কষ্ট হয়। এসব ঘটনায় মামলা, অভিযোগ দায়ের ও ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের।

মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, আবু তাহেরসহ অনেক ব্যবসায়ী জানায়, সিসি ক্যামরার আওতায় চুরি হওয়া কোন আসামীকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। ডিসি সড়কের পুর্বাণী হোটেলের পুর্ব পাশে একটি গ্যাস সিল্ডিডারের দোকানসহ একাধিক দোকান কিংবা বাসা বাড়িতে চুরি হলেও অদৃশ্য কারণে চোর সনাক্ত হচ্ছে না। সিসি ক্যামরার আওতায় দিনে দুপুরে, রাতে কিংবা ভোরে ঘটে যাওয়া সকল চুরির ঘটনায় থানায় মামলা ও অভিযোগ দায়ের করার ইচ্ছা পোষণ করলেও অস্পষ্ট ফুটেজ হওয়ায় করতে পারে না।কিন্তু গেল এক বছরে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে সিসি ক্যামরার আওতায় ঘটে যাওয়া কোন ঘটনারই সমাধান হয়নি। এমনকি বাজার কমিটির কার্যালয়ের আশপাশের সিসি ক্যামরা থাকার পরও চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই চোরও ধরা পড়েনি।

ঈদগাঁও বাজারের অপরাধ দমনে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার পমলের পক্ষ থেকে ২০১৭ সাল থেকে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ১৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এর মধ্যে ডিসি সড়ক ও বাসস্ট্যান্ডে ১০ টি বসানো হয় ।জনস্বার্থে দেওয়া সাংসদের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্দ্যেগ সিসি ক্যামরা গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অনেক স্থান থেকে খুলে নিয়ে গেছে কে বা কারা। এছাড়া এত বড় বাজারে পুলিশের টহল কিংবা কোন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা না পাওয়ায় ফুঁসে ওঠেছে ব্যবসায়ী সমাজ। সিসি ক্যামরা থাকা সত্ত্বেও বাজারে বেড়েই চলেছে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড।

ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে,চলিত মাসে ২৯ দিনে ৬/৭ টি চুরির ঘটনা ঘটে। তবে সিসি ক্যামেরার আওতায় কতটি ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তথ্য দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। তবে এ সংখ্যা হবে ১০ টির বেশী।

চুরির বিষয়টি নিয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য ডাঃ এম মমতাজুল ইসলাম খাঁন রিয়াজ বলেন, খুবই দু:খ জনক যে, কোন ঘটনারই সমাধান হচ্ছে না।জাহাঙ্গীর ট্রেডার্স এর মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার দোকানে চুরির পর কোন চোর শনাক্ত করা যায়নি। তিনি বলেন, চুরির পর পুলিশ একবার দেখতেও আসেনি।বাজারে বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো সিসি ক্যামরায় চোরই যদি ধরা না পড়ে তাইলে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে লাভ কি ? প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ব্যবসায়ী হাসান তারেক বলেন, বাজার জুড়ে একের পর এক চুরির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ির নিরাপত্তা চাই। ব্যবসায়ী মোক্তার আহমদ সিবিএনকে বলেন,সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের বিশেষ উদ্দ্যেগে বসানো সিসি ক্যামরার বেশির ভাগ অকেজো ও খুলে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এই সিসি ক্যামরা নিয়ন্ত্রন করে বাজার কমিটির কয়েকজন নেতা,তৎকালীন ঈদগাঁও পুরাতন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও পরিচিত কয়েকজন ব্যবসায়ীরা। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন এতো দ্রুত কি ভাবে সিসি ক্যামরাগুলো নষ্ট বা চুরি হলো তা খতিয়ে দেখার দাবী জানান।