কাব্য সৌরভ হাসান শিবলু

২০১৫ সালের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি তে যখন বীর সালাহউদ্দীন মিডিয়া পাড়ায় বিব্রিতির হুংকার তুলছিলেন, তখন একদলের মাথার চুলছেড়া অবস্থা। সালাহউদ্দীন হেনতেন, তিনি আমার জুনিয়র ইত্যাদি ইত্যাদি।এই জনপদের মানুষের এসব বানোয়াট ভিত্তিহীন গল্প শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। আরেকদল মিষ্টি বিতরণে ব্যস্ত সদা। এভাবেই চলছিলো দিনগুলো। যখন তিনি মার্চ এর ১০ তারিখ গুম হলেন! যে দল মিষ্টি বিতরণ করছিলো, সেদল হতভম্ভ হয়ে থেমে গেল। অন্যদলের কি কারবার সেটা অজানা নেই এই জনপদের কারো।

ফায়দা লুটেছে কেউ, কেউ হয়েছে নোংরা হিংস্রতার পোশাক ছুঁড়ে কাগজে সিংহ। নিশ্চুপ নিরবতায় অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে থেকেছে আরেকদল। আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন আহমেদ গুম হওয়ায় যেদলের হৃদয় ভেঙ্গেছে পদ্মা ভাঙার মতো। চিৎকার করে কাঁদতে পারেনি, হাসতে পারেনি গোপন কাঁন্নাপোষে।

এভাবেই চলছে দিনগুলো। ২০১৫ সালে ১১ মে যখন মেঘালয়ের শিলং শহরে মানষিক ভারসাম্যহীন ভাবে একজন পিতার খোঁজ পাওয়া গেলো। একটা বটবৃক্ষের অস্তিত্ব পাওয়া গেলো।
যখন জানা গেলো কক্সবাজারবাসী মাথারছাদ এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি, প্রতিহিংসার রোষানলে কারাগাদ হয়ে এখনো জীবিত আছেন। তখনি মিষ্টি বিতরণ শুরু করে দিলো একদল, আরেকদল মাথায় হাতদিয়ে কপালপোড়ার গন্ধ পেয়েছে।যেদল হাসতে পারেনি, কাঁদতে পারেনি গুম হওয়ার কালে
সেদল এবার হু হু করে ফুঁফিয়ে কাঁন্না করে দিলো। সে কান্না আবেগের, সে কান্না নিঃস্বার্থ ভালোবাসার, সে কান্না পিতাহারা সন্তানের পিতা ফিরে পাওয়ার আনন্দের। যে কান্নার প্রতিটি ফোটায় মিশে আছে একজন সালাহউদ্দীনের প্রতি বাঁধভাঙা আবেগ, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। সে দল নিস্তব্ধ নিরবতায় নিজ অবস্থানে অটল থাকে, অটল থাকবে পিতা আলহাজ্ব সালাহউদ্দীনের প্রতিক্ষায়।

গত ২৬ তারিখ যখন ভারতের প্রসিকিউটর জানালেন কক্সবাজারের নাঁড়িছেড়া ধন। কক্সবাজারের সর্বকালের সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি’র চালিকাশক্তি অন্যতম আইডিয়া ক্রিয়েটর আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন আহমেদ বেকসুর খালাস তখনি শুরু হয়ে গেলো একদলের মিষ্টি উৎসব ভালোবাসা আর খুশিতে।আরেকদলের চাঁদ পেতে পেতে অমাবস্যা ঘনিয়ে এলো, হারিয়ে ফেলেছে চাঁদকে। যে দল পূর্ণিমা আর অমাবস্যা দূরত্ব ছিনেনা সেদল কতোটুকু আলো জ্বালাবে? আলোকিত করবে মানুষের জনজীবন। ফুঁফিয়ে কাঁন্না করা মানুষগুলো মিষ্টি খায়নি, মিষ্টি খাওয়ানি, মসজিদে মসগুল হয়েছে মাত্র।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন আহমেদ দেশে ফিরবেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিক্ষিপ্ত প্রতিটি তীর যদি বুকে বিঁধে, সে বিষাক্ত তীরের ব্যথায় কাঁতর না হয়ে নিজের বধ্যভূমি মাতৃকুলে ফিরেন, তখনি! তখনি মিষ্টি খাওয়ায় বিভোর থাকা একদলের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে যাবে, অন্যদল গাঁ ঢাকা দিবে।যেদল ফুঁফিয়ে কেঁদে মসজিদে প্রার্থনায় মশগুল ছিল, সেদল “সালাহউদ্দীন ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে” সে স্লোগানে সে মিছিলে সামিল হতে গিয়ে মিষ্টি খাওয়া শক্তির পাঁয়ের নিচে পড়ে আস্ত পিষে মরবে।আর কেউ! কাঁদতে না পারার, হাসতে না পারার ব্যথা বুকে বয়ে বেড়াবে না, পিতার বিপদ মুহুর্ত্বে ফুঁপিয়ে কেঁদে মসজিদে প্রার্থনায় মসগুল হবে না। অচিরে অজানায় নিস্তব্ধতায় হারিয়ে যাবে একদল নিঃস্বার্থ সালাহউদ্দীন প্রেমিক। “জয়তু প্রিয়নেতা আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন, জয়হোক নেতৃত্ব ও আদর্শের”

লিখেছেন- কাব্য সৌরভ হাসান শিবলু, ছাত্র-লেখক, মহেশখালী।